Site icon Jamuna Television

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে বন্ধ চুয়েট

ফাইল ছবি।

এর আগে, গত বেশ কয়েকদিন ধরেই চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শোডাউন দিতে দেখা যায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের দেয়া হয় হল ত্যাগের নির্দেশ। ক্যাম্পাসে বাড়ানো হয় পুলিশি টহল।

জানা গেছে, আধিপত্যের লড়াইয়ের জেরেই কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ। সেই সাথে কুদরত-ই ক্ষুদা ও তারেক হুদা হলে ঘটে বিস্ফোরণের ঘটনা।

এ ব্যাপারে চুয়েটের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, এদের কোনো দিন রাত নাই। যখন তখন মারামারিতে জড়িয়ে পড়ছে তারা। আমরা পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নিয়েছি, কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে তারা খুবই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এভাবে চলতে থাকলে বড় ধরণের যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।

করোনা মহামারিতে পড়তে হয়েছে সেশন জটে। এরমধ্যেই ছাত্রলীগের এমন কোন্দলে আবারও বন্ধ শিক্ষা কার্যক্রম। এতে বেশ ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী যমুনা নিউজকে জানান, করোনা মহামারির কারণে আমরা এমনিতেই পিছিয়ে আছি। আগামীকালও আমাদের শেষ পরীক্ষাটা দিয়েই চলে যাওয়ার কথা ছিল। এরমধ্যেই তারা একদম আকস্মিকভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সকাল থেকে সব ঠিক হঠাৎ শুনি মারামারি, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কী এমন হওয়ার কথা ছিল?

জানা গেছে, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি দুটি ধারায় বিভক্ত। একটি অংশ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। অন্য অংশটি সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের।

/এসএইচ

Exit mobile version