Site icon Jamuna Television

কুসিক নির্বাচনে ১০৫ কেন্দ্রে থাকছে ৮৫০টি সিসি ক্যামেরা

তৃতীয়বারের মতো কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের নির্বাচনে সব ভোটকেন্দ্রই থাকছে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ১০৫টি ভোটকেন্দ্রে লাগানো হয়েছে ৮৫০টি সিসি ক্যামেরা।

এসব সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটারসহ সবার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মূলত ভোটকেন্দ্রের প্রবেশ পথ এবং ভোটকক্ষের প্রবেশ পথে থাকবে সিসি ক্যামেরা।

কুসিকে বুধবার (১৫ জুন) সকাল আটটায় ভোট শুরু হয়ে টানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এছাড়া এদিন সারাদেশের দেড় শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদ এবং বেশ কয়েকটি পৌরসভার নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। সবখানেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে নেয়া হবে ভোট।

বলা হচ্ছে, নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রথম পরীক্ষা দিতে হবে কুমিল্লায়। বর্তমান ইসির অধীনে প্রথম কোনো নির্বাচন এটি। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তারা কেমন ভূমিকা রাখে, এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোসহ সবার আগ্রহ থাকলেও বেশিরভাগেরই নজর কুসিকে।

কুসিক নির্বাচনে ১০৫ কেন্দ্রের বিপরীতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র আছে ৮৯টি। এই সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৭ হাজার ৯২, পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬।

এ ভোটের লড়াইয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩ হাজার ৬০৮ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। ২৭টি মোবাইল টিম, ১২ প্লাটুন বিজিবি, ২৭টি র‍্যাবের টিম, ৩৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে থাকছেন। এছাড়া ২টি রিজার্ভ টিম থাকবে।

সিলেট, চট্রগ্রাম, ফেনী, বান্দরবান ও মৌলভীবাজার থেকে কুমিল্লায় আনা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

এ নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন নির্বাচন করলেও মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তিনজনের মধ্যে। তারা হলেন মনিরুল হক সাক্কু, আরফানুল হক রিফাত ও নিজাম উদ্দিন কায়সার। এরমধ্যে আরফানুল হক রিফাত আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। মনিরুল হক সাক্কু কুসিকের সাবেক মেয়র এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা। আর নিজাম উদ্দিন কায়সারও বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। নির্বাচনের অংশ নেয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদিকে, সাধারণ কাউন্সিলর পদে লড়াই করছেন ১১১ জন। আর ৩৬ নারী অংশ নিয়েছেন সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে।

উল্লেখ্য, কুসিকে এটি তৃতীয় নির্বাচন। আগের দুই নির্বাচনেই মেয়র নির্বাচিত হন মনিরুল হক সাক্কু। প্রথমবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং দ্বিতীয়বার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

/এমএন

Exit mobile version