
ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে তীব্র লড়াইয়ের মধ্যেই দেশটি সফরে গেলেন ইউরোপের সবচেয়ে ক্ষমতাধর শীর্ষ তিন নেতা। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) একসাথে কিয়েভে পৌঁছান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিয়ো দ্রাঘি ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ।
মূলত ইউক্রেনের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন জানান দিতেই এই সফর। এদিকে, জেলেনস্কির আহ্বানে সাড়া দিয়ে আরও ১শ’ কোটি ডলারের অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, রাতে ট্রেনে করে পোল্যান্ড থেকে রওনা হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে কিয়েভে পৌঁছান ইউরোপের শীর্ষ তিন দেশের সরকার প্রধান। স্টেশন থেকে কড়া নিরাপত্তায় নিয়ে যাওয়া হয় ফ্রান্স, ইতালি এবং জার্মানির তিন নেতাকে।
ইইউ সামিটের সপ্তাহ খানেক আগে হঠাৎই এই সফর নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। কিয়েভ বলছে, ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জোটভুক্ত করার আগে কিছু আলোচনা করতে এসেছেন তারা।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন বলেন, এটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এই সফরের মাধ্যমে আমরা ইউক্রেনীয়দের কাছে ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি। তাদের বলবো আমরা সবসময় তোমাদের পাশে আছি।
এর আগে, রাতেই যুদ্ধের কৌশল এবং পরিকল্পনা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফোনালাপ করেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। সেখানেই আরও একশ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তার ঘোষণা দেন বাইডেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, কীভাবে যুদ্ধে দ্রুত জয় পাওয়া যায় তা নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সাথে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এছাড়া, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে কীভাবে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া যায় তা নিয়েও কথা হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সবাই এক হয়ে কাজ করছি। মাদ্রিদে ন্যাটো সামিটে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত আসবে বলে মনে করছি।
যুক্তারাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ইউক্রেনকে আরও একশো কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম দেবে যুক্তরাষ্ট্র। শত্রুদের মোবাকেলা এবং নিজেদের সুরক্ষায় ব্যবহৃত হবে এসব নিরাপত্তা সরঞ্জাম। বিশাল এই চালানে উচ্চগতীর আর্টিলারি রকেট ব্যবস্থাও পাঠানো হবে। আমরা আশা করবো ইউরোপের অন্যান্য দেশও এই মুহূর্তে অস্ত্র পাঠাবে ইউক্রেনে।
তবে এসব হুমকি ধামকিকে খব একটা আমলে নিচ্ছে না রাশিয়া। মস্কোর দাবি, লুহানস্ক এবং দোনেৎস্কের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে। পরিস্থিতি বুঝে দেয়া হবে দখলের ঘোষণা।
/এনএএস



Leave a reply