বীরাঙ্গনাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও অধিকার নিশ্চিতের পুরো প্রক্রিয়াটি ছিল পরিকল্পনাহীন, জটিল ও হয়রানিমূলক। ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হলেও জবাবদিহিতার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। বলেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকালে টিআইবি ভার্চুয়ালি বীরাঙ্গনাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও অধিকার: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণের উপায় শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বীরাঙ্গনাদের চিহ্নিত করা থেকে শুরু করে স্বীকৃতি প্রদানে বিভিন্ন ধরনের ঘাটতি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার অভাব ছিল।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের চার দশক পরে হলেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বীরাঙ্গনাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান সরকারের একটি অনন্য পদক্ষেপ। তবে বীরাঙ্গনাদের চিহ্নিত করা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সুযোগ-সুবিধা প্রদানের পুরো প্রক্রিয়ায় নানা ঘাটতি বিদ্যমান। বীরাঙ্গনাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও অধিকার প্রাপ্তির প্রক্রিয়া যেখানে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে বাস্তবায়ন করা আবশ্যক সেখানে পরিকল্পনাহীনতা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার ঘাটতি, কাঠামোগত জটিলতা, অনিয়ম-দুর্নীতির সুযোগ, জবাবদিহি ব্যবস্থা ও সংবেদনশীলতায় ঘাটতি প্রক্রিয়াটিকে করে তুলেছে জটিল।
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও সংবেদনশীলতার ঘাটতি দূর করতে ব্যর্থ হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়াটি জটিল হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়। সংকট নিরসনে গেজেটের তথ্যগত জটিলতা দূর, পাঠ্যপুস্তকে তাদের অবদান অন্তর্ভুক্তি এবং আবাসন সুবিধা নিশ্চিতের পরামর্শ টিআইবির।
/এডব্লিউ

