Site icon Jamuna Television

লালমনিরহাটে পানিবন্দি ১০ হাজার মানুষ

লালমনিরহাটে পানিবন্দি হাজারো মানুষ।

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে লালমনিরহাটের তিস্তা, ধরলা, রত্নাইসহ বিভিন্ন নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার (১৭ জুন) সকালে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৪ সে. মি ওপরে ও ধরলা নদী বিপদসীমার ৯ সে. মি ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৮৪ মি. মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

ফলে জেলায় নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন সজাগ রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ইতোমধ্যে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ১০ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকাল ৯ টায় পানি বিপদসীমার কাছাকাছি এবং বিকেল ৩ টায় বিপদসীমা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে রাত ৯টায় ডালিয়া পয়েন্ট পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৬টায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ১৪ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সকাল নয়টায় তা কমে বিপদসীমার ৫ সে.মি ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে  শিমুল বারি পয়েন্টে বিপদসীমার ৯ সে. মি. ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে। রত্নাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে গত কয়েকদিনে ৮-১০ টি বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে আরও ফসলি জমি ও বাড়িঘর।

এছাড়াও জেলা বিভিন্ন নদী ও খাল, ডোবার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এছাড়াও প্লাবিত হয়েছে নদী তীরবর্তী লোকজনের বাড়িঘর।  চলাচল,  রান্নাসহ দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

তবে জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে নদীর পানি বাড়লেও দুপুরে পর কমতে শুরু করেছে। কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা আছে। প্রত্যেক উপজেলা নিবাহী অফিসারদের তালিকা প্রেরণের জন্য নিদেশ দেয়া আছে। পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

/এসএইচ

Exit mobile version