Site icon Jamuna Television

আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবস; ইউক্রেনে বাস্তুচ্যুত এক তৃতীয়াংশ মানুষ

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে যখন শরণার্থী দিবস পালিত হচ্ছে তখন ইউক্রেনে প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে শরণার্থীর ঢল। রুশ হামলার মাত্র চার মাসেই দেশটিতে বাস্তুচ্যুত এক তৃতীয়াংশ মানুষ। জন্মভূমি ছেড়ে ভিনদেশে পাড়ি জমিয়েছে ইউক্রেনের ৬৬ লাখের বেশি মানুষ। দেশের ভেতরেই গৃহহীনের সংখ্যা ৭০ লাখের বেশি।

হামলা, ধ্বংস এখন প্রতিদিনকার চিত্র ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে। দোনেৎস্কের কুইবিশেভস্কি জেলার আবাসিক এলাকায় রাতভর হয়েছে গোলাবর্ষণ। বিধ্বস্ত হয়েছে বহু বাড়িঘর। প্রাণ গেছে দু’জনের। সেই সাথে, সেভেরোদোনেৎস্ক, লিসিচানস্কে প্রতিনিয়ত বাড়ছে হামলা। ধ্বংস হয়ে গেছে এলাকাগুলোর বেশিরভাগ রাস্তাঘাট, সেতু। শহর থেকে বের হওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। জাতিসংঘ বলছে, ইউক্রেনের এমন আক্রান্ত এলাকাগুলোয় আটকা পড়ে আছে কমপক্ষে ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ।

তুলনামূলক হামলার পরিধি কম, দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের এমন এলাকাগুলো থেকে নিরাপদ জায়গার সন্ধানে ছুটছে বাসিন্দারা। আতঙ্কগ্রস্ত এমন এক বাসিন্দা বলেন, ক্রামাতোরস্ক থেকে এসেছি। সেখানে কোনো কাজ নেই। তিন বাচ্চা নিয়ে একা লড়ছি। মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভর করতে হয়। ওদের খাবারদাবারের ব্যবস্থা নিশ্চিতে অন্য কোথাও আশ্রয় খুঁজছি।

ছবি: সংগৃহীত

এই মুহূর্তে রুশ হামলার কেন্দ্র সেভেরোদোনেৎস্ক ও লিসিচানস্ক থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে ৫৫ কিলোমিটার দূরের শহর বাখমুত। সেখানকার বাসিন্দাদের প্রতি মুহূর্ত কাটে হামলার আতঙ্কে। গত এক মাসে অঞ্চলটি ছেড়েছে অর্ধেকের বেশি মানুষ। যুদ্ধকবলিত এলাকাগুলো থেকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ করছে দেশি-বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বাখমুত থেকে এসেছি। সেখানে থাকা প্রায় অসম্ভব। বিদ্যুৎ নেই। পানি নেই। গ্যাস নেই। গোলাগুলি চলছে সারাক্ষণ। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। জীবন বাঁচাতে শহর ছেড়েছি।

মার্ক পোপার্ট নামের এক স্বেচ্ছাসেবী বিবিসিকে বলেন, আমাদের মিশন ফ্রন্টলাইন এলাকা থেকে মানুষদের সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া। ইউক্রেনের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে যৌথভাবে কাজ করি। অনেকেই প্রচণ্ড মানবিক সংকটে আছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকট তৈরি হয়েছে ইউক্রেনে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে দেশটির এক-তৃতীয়াংশ মানুষ। দেশ ছাড়াদের বেশিরভাগ আশ্রয় নিয়েছে পোল্যান্ডে। রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, মলদোভাতেও ঠাঁই নিয়েছে লাখো মানুষ।

আরও পড়ুন: যুদ্ধের মধ্যেও পুতিন-রুশ সেনা নিয়ে ইউক্রেনে চলছে স্ট্যান্ড আপ কমেডি শো

/এম ই

Exit mobile version