Site icon Jamuna Television

শাহজালালে লাগেজ বিড়ম্বনা, বিমান থেকে নামিয়ে ছুঁড়ে ফেলা হয় বেল্ট এরিয়ায়

শাহজালাল বিমানবন্দরে দেশি-বিদেশি যাত্রীদের লাগেজ নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। বিমান থেকে নামিয়ে ছুঁড়ে ফেলা হয় বেল্ট এরিয়ায়। এতে ব্যাগ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি এর ভেতরে থাকা মূল্যবান সামগ্রীও নষ্ট হয়। বছরের পর বছর ধরে ভুক্তভোগীদের এমন অভিযোগ থাকলেও নির্বিকার কর্তৃপক্ষ।

গত ১০ জুন রাত ১০টায় বিমানবন্দরে গোপনে তোলা মোবাইল ক্যামেরায় যা ধরাও পড়ে। থাইল্যান্ড থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের যাত্রীদের লাগেজ ছুড়ে মারা হচ্ছে। সাধারণ লাগেজ শুধু নয়, বিশেষ ট্যাগ লাগানো কার্টন, ব্যাগ এমনকি ট্রলিগুলো ছুড়ে মারছেন বিমানকর্মীরা।

লাগেজের ভেতর কী আছে, তা দেখার বা জানারও প্রয়োজন মনে করেন না এসব গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কর্মী। আর তাই প্রতিদিন ভাঙছে যাত্রীদের ট্রলির চাকা, থেতলে যাচ্ছে ব্যাগ। নষ্ট হচ্ছে ভেতরের মূল্যবান জিনিসপত্রও।

বিমানবন্দরে এক যাত্রী বলেন, এখানে আসলে নিজের ব্যাগ চিনতে পারি না, এটা আমার ব্যাগ নাকি অন্য কারও ব্যাগ। আরেক যাত্রী বলেন, একটা নতুন ট্রলি আজকে নিয়ে যাচ্ছেন, একটা ফ্লাইটে যেতে পারবেন। পরবেন কোনো না কোনো সমস্যা হয়েছে।

প্রবাসী একজন জানালেন, বিদেশ থেকে যতবারই জিনিসপত্র আনেন, তা ভেঙে যায়।

আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটিতে লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের সবকিছুই যেন চলছে ফ্রি স্টাইলে। অভিযোগ জানিয়ে ত্যাক্ত বিরক্ত বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলোর কোনো কোনটি তাই বাধ্য হয়েই নিজস্ব কর্মী দিয়ে যাত্রীদের লাগেজ সেবা দিচ্ছে।

নভো এয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, প্রতি মাসেই বিমানবন্দরের বৈঠকে এ নিয়ে কথা হয়। কিন্তু এখনও এর দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হয়নি।

ভিডিও চিত্র দেখে অবাক হয়েছেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল। দায়িত্ব অবহেলার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন তিনি।

লাগেজ সেবার এ চিত্র ভাবিয়ে তুলেছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে। সিসিটিভি দিয়ে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা থাকলেও রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির বিরুদ্ধে খুব একটা ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না তাদের।

সিভিল এভিয়েশন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, এটা দুঃখজনক। যারা গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং করতেছে, তাদের কঠোরভাবে বলা হয়েছে, একটা লাগেজ নষ্ট হলে যেন মানুষের মতো অনুভব করে।

সবশেষ চাহিদার তুলনায় জনবল কম থাকার পুরনো সেই অজুহাত আবারও মনে করিয়ে দিলেন বেবিচক চেয়ারম্যান।

/এমএন

Exit mobile version