Site icon Jamuna Television

কুশিয়ারা তীরবর্তী ৫ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

এখনও খাবার ও পানির সঙ্কটে অসংখ্য বানভাসি মানুষ।

সিলেটে কুশিয়ারা তীরবর্তী পাঁচ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও জকিগঞ্জের পরিস্থিতি খারাপের দিকে। তবে ভারি বর্ষণ না হওয়ায় সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কিছুটা কমেছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশীদ পয়েন্টে ১৮৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে, সুরমা, ধলাই, পিয়াইন, লোভা ও সারি নদীর পানি কমতে থাকায় সিলেট সদর, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে বিশ্বনাথ ও কানাইঘাটে। দুর্গম এলাকার আশ্রয়কেন্দ্র ও বাড়িঘরে এখনো ত্রাণ না পাওয়ায় অনেকে পার করছেন দুর্বিষহ দিন।

বানভাসি এক নারী জানালেন তার অসহায়ত্বের কথা। বলেন, বাচ্চাদের খাবার নেই। পরার কোনো জামা নেই। বাচ্চাদের নিয়ে যেন পানির মধ্যে ভাসছেন তিনি! আরেক নারী জানান, ত্রাণ সহায়তা পাননি তারা। খাবার যে কিনে খাবেন, সে অবস্থাও নেই।

এদিকে, ভারি বৃষ্টি না হওয়ায় সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো জেলা সদরের নিম্নাঞ্চল ও ১১ উপজেলার অধিকাংশ গ্রামে পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ। যেসব এলাকা থেকে পানি নামছে, সেখানে ভেসে উঠছে বন্যার ভয়াবহ ক্ষতচিহ্ন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট। এখনো বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের তীব্র সঙ্কট রয়েছে। দুর্গম এলাকার মানুষের মাঝে খাবার পৌঁছে দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

/এম ই

Exit mobile version