Site icon Jamuna Television

খারকিভে রক্তক্ষয়ী দিন, রুশ হামলায় নিহত ১৫

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী একটি দিন দেখলো খারকিভ। রুশ বাহিনীর মুহুর্মুহু হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে বিশাল এলাকা। এতে মঙ্গলবার (২১ জুন) প্রাণ গেছে কমপক্ষে ১৫ জনের। মূল শহরেই নিহত হয়েছেন ৫ জন। নিহত ব্যক্তিরা বেসামরিক নাগরিক বলে দাবি করেছেন আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সিনেহুবভ। খবর রয়টার্সের।

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের চারদিকে রুশ বাহিনীর রকেট আর মিসাইল হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন। খারকিভের এক বাসিন্দা বলেন, ৮৫ বছর বয়স ছিল দাদির। এক যুদ্ধে রক্ষা পেলেও এবার প্রাণ হারাতে হলো। বাড়িতে ছিলাম না; তাই প্রাণে বেঁচে গেছি। আমাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। যুদ্ধ থেকে কেউই নিরাপদ নই।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর দোনবাসেও এগিয়েছে রুশ বাহিনী। নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে লুহানস্কের লিসিচানস্ক ও সেভেরোদোনেৎস্কে আরও কয়েকটি এলাকা। তোশকিভকা অঞ্চলের দখলও তাদের হাতে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দাবি, হাল ছাড়েনি সেনারা। বিভিন্ন ফ্রন্টে শক্ত জবাব দিচ্ছে তারা। ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, লুহানস্ক কঠিন রণক্ষেত্র। তবে ইউক্রেনও প্রবল শক্তিমত্তায় তাদের ঠেকাচ্ছে। দখলদাররা আক্রমণ বাড়াচ্ছে দোনেৎস্ক আর খারকিভেও। রুশ বাহিনী এই হামলার মধ্য দিয়ে কিছু অর্জন করতে পারবে না, কেবল ধ্বংসযজ্ঞ ছাড়া।

ছবি: সংগৃহীত

এরই মধ্যে মঙ্গলবার ইউক্রেন সফরে যান মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড। যুদ্ধাপরাধের দায়ে রুশ সেনাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। মেরিক গারল্যান্ড বলেন, ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষকে তদন্তে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। নৃশংসতার জন্য জবাবদিহিতা করতে হবে পুতিন বাহিনীকে। যুদ্ধাপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি করা হবে। পালানোর কোনো জায়গা পাবে না তারা।

যুক্তরাজ্যের দাবি, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে আরও সেনা সমাবেশের পরিকল্পনা করছে মস্কো। এদিকে, যুদ্ধ বন্ধ আর শান্তিপূর্ণ সমাধানে মধ্যস্থতার উদ্যোগ নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। আগামী সপ্তাহে রাশিয়া-ইউক্রেন সফর করবেন প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে সহায়তায় নিজের নোবেল পুরস্কার নিলামে তুললেন রুশ সাংবাদিক

/এম ই

Exit mobile version