Site icon Jamuna Television

অর্থনীতিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে কিছু দেশ, পরিণাম ভোগ করছে পুরো বিশ্ব: শি জিনপিং

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। (ফাইল ছবি)

কিছু দেশ অর্থনীতিকে ব্যবহার করছে অস্ত্র হিসেবে, যার পরিণাম ভোগ করছে পুরো বিশ্ব- অর্থনৈতিক জোট ব্রিকস সম্মেলনের এর উদ্বোধনী ভাষণে দেয়া বক্তব্যে এমনটাই বলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে এমন অভিযোগ করেন শি। বলেন, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মতো অস্ত্র এখন বুমেরাংয়ে পরিণত হয়েছে এর ব্যবহারকারীদের জন্য। জোটের অপর সদস্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশা জানিয়ে বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির চালিকাশক্তি হতে পারে ব্রিকস।

টানা তৃতীয়বারের মতো ভার্চুয়ালি শুরু হয়েছে পাঁচ জাতির অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসের সম্মেলন। করোনার দাপট না থাকলেও গেলো দু্বারের মতো এবারও ভার্চুয়ালিই আয়োজিত হয়েছে সম্মেলনটি।

অধিবেশণের শুরুতেই আলোচিত হয় রুশ-ইউক্রেন সংঘাত এবং চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট। উদ্বোধনী ভাষণে, পশ্চিমা শক্তির সমালোচনা করে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, অর্থনীতিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুরো বিশ্বেই।

শি জিনিপিং আরও বলেন, খেয়াল করে দেখুন যারাই অর্থনৈতিক অবরোধকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে তারাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আর তার প্রভাব পড়েছে পুরো বিশ্বে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে বৈশ্বিক অর্থনীতিকে রাজনীতিকরণ থেকে মুক্ত করার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন শি।

এরপরই শুরু হয়, ব্রিকস বিজনেস ফোরামের বৈঠক। এ সময় বক্তারা জানান, ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর জনসংখ্যা প্রায় ৩২৩ কোটি যা বাজার হিসেবে খুবই সম্ভাবনাময়। এসব দেশের সম্মিলিত জিডিপি ২৩ লাখ কোটি ডলারের বেশি। ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে এ জোটের।

নিজের বক্তব্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, বৈশ্বিক সঙ্কট মোকাবেলায় এই জোট অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে। করোনা মহামারি মোকাবেলায় ব্রিকস জোট যেভাবে অবদান রেখেছে তা বিশ্বে অনন্য নজির হয়ে থাকবে।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে গড়ে ওঠে, অর্থনৈতিক জোট ব্রিকস। যদিও এটিকে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন কৌশলগত নিরাপত্তা জোট কোয়াডের বিপরীত জোট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

/এসএইচ

Exit mobile version