Site icon Jamuna Television

প্রথমে ‘ভুয়া ভিডিও’ দাবি করলেও এখন সেই নারীকে স্ত্রী দাবি সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যানের

চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে এক বয়স্ক নারীর সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরের আপত্তিকর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও রফিক উদ্দিন ঠাকুর শুরু থেকে দাবি করেছিলেন, এই ভিডিও সর্ম্পকে  তিনি কিছুই জানেন না। তাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে তার মাথা লাগিয়ে এই ভিডিওটি তৈরি হয়েছে।

ঘটনার ৩দিন পর এখন তিনি দাবি করছেন সেই নারী তার বিবাহিত স্ত্রী। একটি কাবিননামাও তিনি সরাইল থানা পুলিশের কাছে উপস্থাপন করেছেন। সেখানে  পাশ্ববর্তী আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নে কাজী অফিসে তাদের বিবাহ হয়েছে। যদিও তাদের নিকাহ্ রেজিস্টার কাজী মাওলানা মোবারক হোসেন ২-৩ বছের আগেই মারা গেছেন।

আরও পড়ুন: সরাইলে চেয়ারম্যানের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস, ‘ভুয়া’ দাবি করে মামলার প্রস্তুতি

এর আগে, সরাইলে এক বয়স্ক নারীর সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরের সাথে সোমবার (২০ জুন) সন্ধ্যার পর থেকে একটি আপত্তিকর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ৩ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর এক নারীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত রয়েছেন। চেয়ারম্যানের এই কর্মকাণ্ডে বিব্রত হয় স্থানীয়রা।

এদিকে রফিক উদ্দিন ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার অপরাধে সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বড় পুত্র সাইফুল ইসলাম ঠাকুর রাব্বি বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সরাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২ মার্চ তারিখে মরিয়ম বেগমের সাথে সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরের ইসলামী শরীয়া মোতাবেক পারিবারিকভাবে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের একটি ভিডিও সুপরিকল্পিতভাবে ধারণ করে একটি কুচক্রীমহল। পরবর্তীতে উক্ত ভিডিও দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকজনকে দেখিয়ে এলাকায় মুখরোচক আলোচনার সৃষ্টি করে মহলটি। 

গোপনে ধারণকৃত পারিবারিক ঐ ভিডিওটি গত ২০ জুন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন আইডি থেকে ভাইরাল করা হয়।  বিষয়টি ভুক্তভোগী পরিবারের দৃষ্টিগোচর হলে পরিবারের পক্ষ থেকে সরাইল থানায় একটি জিডি করা হয়। জিডি নং ১১৯৪। এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এই ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্বিতীয় বিয়ের কাবিননামা আমাদের দিয়েছেন। গ্রেফতার আসামিরা মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে সংরক্ষণ, প্রচার ও সরবরাহ করায় পর্নোগ্রাফি আইনের ৮ ধারায় অপরাধ করেছেন। তাদের মোবাইলে এসব আলামত থাকায় তা জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

/এনএএস

Exit mobile version