Site icon Jamuna Television

রোহিঙ্গা শিশুকে অপহরণ, মুক্তিপণ চাওয়া হয় টাকা অথবা কিশোরী মেয়ে

বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা এক শিশুকে অপহরণ করে তার গলায় ছুরি ধরে মুক্তিপণ চেয়ে ভিডিওবার্তা পাঠানো হয় পরিবারের কাছে। মুক্তিপণে চাওয়া হয় ৫ লাখ টাকা, অথবা ১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে। আর ভিডিওতে ছেলেকে নির্যাতনের করুণ দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মা। ছুটে যান ১৬ এপিবিএনের কাছে। দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তারা অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে আট বছরের শিশুটিকে তুলে দেন মায়ের কোলে। গত দুই বছরে এই শিশুসহ অন্তত ১৫৪ অপহরণ ও উদ্ধারের ঘটনা ঘটে টেকনাফের ৭টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।

অপহরণকারীদের পাঠানো ভিডিওতে দেখা যায়, আট বছরের শিশুর হাত, পা বাঁধা, চোখ-মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা। নৃশংসভাবে গলায় ধরে রাখা হয়েছে ধারালো চাপাতি। ভিডিওবার্তায় পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অন্যথায় ১৪ বছরের মেয়েটিকে তাদের হাতে তুলে দিতে বলা হয়।

খবর পেয়ে এপিবিএন দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করলেও সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক মো. তারিকুল ইসলাম তারিক জানান, যে মুহূর্তে শিশুটির মা অভিযোগ জানান, তখনই ঘটনাস্থল শনাক্ত করতে সক্ষম হন তারা। পরে পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়।

মে মাসের মাঝামাঝি নয়াপাড়া ক্যাম্প থেকে শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় নূরানী পাহাড়ে। দুর্গম পথ ধরেই নেয়া হয় পাহাড়ের ওপর। পথে তাকে করা হয় নির্যাতন।

১৬ এপিবিএন অধিনায়ক মো. তারিকুল ইসলাম তারিক জানালেন, শুধু আট বছরের এই শিশু নয়, দুই বছরে ১৬ এপিবিএন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ১৫৪ ভুক্তভোগীকে। কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া, জাদিমুড়া, শালবাগান, লেদা ও আলীখালীসহ ৭টি ক্যাম্প দুর্গম পাহাড়বেষ্টিত। এ পাহাড়গুলোতে লুকিয়ে থাকে বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ। মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় দেশি-বিদেশি অস্ত্র। দুর্গম পাহাড়বেষ্টিত ক্যাম্পগুলোতে নিয়মিত তৎপরতার কারণে এখন অনেকটা শঙ্কামুক্ত বলে দাবি করলেন অধিনায়ক।

/এডব্লিউ

Exit mobile version