Site icon Jamuna Television

আনন্দঘন দিনে কন্যা পুতুলের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সেলফি

মায়ের সাথে পুতুলের সেলফি।

বৈশ্বিক দাতাদের চোখ রাঙানিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জাতিগত স্পর্ধা প্রদর্শনের দিনে আবেগাপ্লুত সমগ্র জাতি। সরকার প্রধানকেও এই আবেগ ছুঁয়ে গেছে। বিশেষ করে জাতির অহম প্রকাশের ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও তার সফল বাস্তবায়নের পর তিনিই তো আজ সবার আনন্দের মধ্যমণি। সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা ও ফলক উন্মোচনের কিছুক্ষণ পর মাওয়া প্রান্তে কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সেলফিও তাই মাকে ঘিরেই। প্রোটোকলের কিছুটা বাইরে গিয়েই এ সময় মা-মেয়ে নিজেদের কিছু স্মৃতি ধরে রাখেন মুঠোফোনে।

এ সময় ভিডিওকলে কথা বলতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। ধারণা করা হচ্ছে, পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় অথবা ছোটবোন শেখ রেহানার সাথে কথা বলছিলেন তিনি। একসময় তিনি ফোন ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল দেখান। এক পর্যায়ে পুতুলকেও মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখা যায়।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে সাজ সাজ রব ছিল মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে। ডিজিটাল ক্যামেরায় সেই একের পর এক ছবি তুলে সেই দৃশ্যও ধারণ করেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

প্রধানমন্ত্রী ভিডিওকলে কথা বলার সময় একের পর এক ছবি তুলে যাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

এর আগে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী মঞ্চে বক্তৃতা দেয়ার সময় এক পর্যায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। মিথ্যা অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর নিজের পরিবারও যে মানসিক যন্ত্রণা ভুগেছেন, বক্তব্যে সে কথাও বলেন। স্যালুট জানান জনগণকেও।

এ সময় ভিডিওকলে কথা বলেন মা-মেয়ে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা সবাই জানেন যে যখন সেতু নির্মাণে নামি তখন অনেক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়। দুর্নীতির অপবাদ দিয়ে একেকটা মানুষ, একেকটা পরিবারকে মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে একটি গোষ্ঠী। আমার বোন শেখ রেহানা, আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, আমার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ, রেহানার ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিকি, পদ্মা সেতুর নির্মাণের কাজে যাকে আমরা উপদেষ্টা হিসেবে বিশেষভাবে দায়িত্ব দিয়েছিলাম সেই ড. মশিউর রহমান ও সাবেক যোগযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনসহ যাদের মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়েছে ও সেই যন্ত্রণা যারা ভোগ করেছে আমি তাদের প্রতি ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাই। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমত, সত্যের জয় হয়েছে।

Exit mobile version