Site icon Jamuna Television

বন্যায় বেড়েছে শুকনো খাবারের দাম, টান পড়েছে বানভাসিদের ত্রাণে

শুকনো খাবারের দাম বাড়ায় টান পড়েছে বানভাসিদের ত্রাণে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনও আছে ভয়াবহ বন্যার প্রভাব। বানবাসি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে চিড়া, মুড়ি, গুড়সহ বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার। সুযোগ বুঝে বাড়ানো হয়েছে এসব খাবারের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চিড়ায় দর ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। ব্যবসায়ীদের দাবি, বন্যার কারণে উৎপাদন কমেছে। অন্যদিকে, স্বেচ্ছাসেবীরা বলছেন, দুর্যোগের অজুহাতে প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ানো অনৈতিক। এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার অধিদফতরকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। আর ত্রাণ সামগ্রী কিনতে বাজারে যাওয়া ক্রেতাদের অভিযোগ, এমন দুর্যোগের মুহূর্তে ব্যবসায়ীরা শুকনো খাবারের দাম বাড়িয়ে ফেলায় টান পড়েছে ত্রাণ সামগ্রীতে।

সিলেট, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ডুবেছে, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। অনেকে উঠেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। খাবার সঙ্কটে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন তারা। বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকারি-বেসরকারি সংগঠন। চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুটসহ বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার, বানভাসিদের পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এখন টান পড়েছে এসব খাবারের সরবরাহে। ত্রাণ সামগ্রী কিনতে আসা অনেক ক্রেতাই জানান, শুকনো খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশি সংখ্যক বানভাসিদের ত্রাণ সামগ্রী দেয়া সম্ভব হবে না। বস্তা প্রতি চিড়ার দাম ছিল ২২০০ টাকা। এখন সেই বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৭০০-২৮০০ টাকায়।

সপ্তাহের ব্যবধানে চিড়ার বস্তা প্রতি দাম বেড়েছে অন্তত ৬শ’ টাকা আর মুড়ির দাম ৩শ‍’‍‍‍ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম বাড়ানোর কলকাঠি নাড়ছেন মিলাররা। ধান বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে মিল মালিকরা চিড়া বিক্রি করছেন বেশি দামে। মুড়ির দাম হয়ে গিয়েছিল ২৭০০-২৮০০ টাকা। আর এখন সেই মুড়ির দাম ৩ হাজার থেকে ৩২০০ টাকা।

এক সপ্তাহ আগেও মান ভেদে চিড়ার কেজি ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আর বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। খোলা মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৬ এবং প্যাকেটজাত ৭০ থেকে ৮০ টাকা। গুড়ের দামও ঊর্ধ্বমুখি। আখের গুড় বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা আর খেজুরের গুড় ১১০ টাকা কেজি। বাড়তি দামের তালিকায় আছে মোমবাতিসহ বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট। একজন বিক্রেতা জানান, চাহিদা হচ্ছে ১ হাজার বস্তা আর উৎপাদন হচ্ছে ৩০০ বস্তা। চাহিদা বাড়ার কারণেই দাম বেড়ে গেছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে গেলে, শুকনো খাবারের দাম, আবারও আগের অবস্থায় চলে আসবে।

/এম ই

Exit mobile version