জীবন বেঁচেছে ঠিকই কিন্তু বাঁচানো যায়নি সম্পদ। বিস্তীর্ণ হাওরের ঘরে ঘরে চলছে সেই হাহাকার। গোলাবাড়ির কামাল ঘর তুলেছিলেন এক বছর বছর হলো। এবারের বন্যা আর পানির তোড়ে তার সেই ঘরটি ভেঙে গেছে। ভেসে গেছে সবকিছু, তছনছ হয়েছে স্বপ্ন। বন্যার পর পরই স্ত্রী-সন্তানদের পাঠিয়ে দিয়েছেন উজানের উঁচু এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে।
ঢেউ আর স্রোত কমার পর থেকে প্রতিদিন নৌকা বেয়ে নিজের ঘরটি দেখতে আসেন কামাল। ধ্বংসস্তুপের ভেতরে খুঁজছেন কী যেন। সবই গেছে জেনেও চেষ্টা চলতেই থাকে। যদি কোনো কিছুর অবশিষ্ট থাকে। দূর জনপদের প্রতিবন্ধকতার শিকার প্রান্তিক এই মানুষটি জানালেন, তার সারা জীবনের জমানো সম্পদ ভেসে গেছে এবারের বন্যায়।
একটু একটু করে নামছে বন্যার পানি। তাহিরপুর-মধ্যনগরের ঘরভাঙা মানুষেরা ফিরছেন নিজের গ্রামে, নিজের ঘরে। নিজের মতো করেই গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে। তবে প্রতিদিনের খাবার জোগাড় করাই যেখানে কঠিন, সেখানে নতুন ঘর উঠবে কী করে!
বন্যা দুর্গতদের মধ্যে সবচেয়ে দূরের এই জনপদের খোঁজ সেভাবে কেউ রাখছে না। তবে তিল তিল করে গড়ে তোলা সম্পদের যতটুকু ফিরিয়ে আনা যায় সেই চেষ্টায় ব্যস্ত তারা।
/এডব্লিউ

