Site icon Jamuna Television

’৬৬ এর বিশ্বকাপ চুরি: ৫২ বছর পর চোরের ভাতিজার স্বীকারোক্তি!

১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ শুরু হতে তখন বাকি কয়েক মাস। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এই আসর উপলক্ষে ট্রফিটি রাখা হয়েছিল ওয়েস্টমিনস্টারের মেথডিস্ট সেন্ট্রাল হলে। দিনের বেলা এটি দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শন করা হতো।

এমনই একদিন প্রদর্শন শেষে যখন কর্তৃপক্ষ হলটি বন্ধ করতে যাচ্ছিলেন তখন সেখানে আগমন ঘটে চোরের! সুযোগ বুঝে সবার অগোচরে ট্রফিটি নিয়ে চম্পট দেয় তস্কর বেচারা। গায়ে জড়ানো কোটের ভেতরে লুকিয়ে যখন চোর পগার পার হয়ে যায়, তখন টের পায় কর্তৃপক্ষ। সাথে সাথে পুলিশকে জানানো হলে নজিরবিহীন অভিযান শুরু করে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।

সংস্থাটির ইতিহাসে এত বড় অভিযান এর আগে কখনো হয়েছিল কিনা জানা নেই। যেখানে যাকেই সন্দেহ হয়েছে আটক করে তল্লাশি চালানো হয়েছে। কিন্তু খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ট্রফির। এক সপ্তাহ এভাবে চলার পর একটি রাস্তায় পরিত্যক্ত অবস্থা পাওয়া যায় ট্রফিটি। এবং সেটির সন্ধান দেয় ডগ স্কোয়াডের সদস্য ‘পিকলস’। বিশ্বকাপ আয়োজকদেরকে বিরাট বিপদ থেকে উদ্ধার করায় কুকুরটিকে পুরস্কৃতও করা হয়!

কিন্তু কে চুরি করেছিলো তা কোনো সুরাহার করতে পারেনি স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। যাইহোক, ৫২ বছর পর এবারের বিশ্বকাপের আগে ব্রিটেনের ডেইলি মিরর জানাচ্ছে তাদের কাছে চুরির ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন চোরের ভাতিজা গ্যারি। ১৯৬৬ সালের ২০ মার্চ গ্যারির চাচা সিডনি কুগুলারে ট্রফিটি চুরি করেছিলেন। তাকে সহযোগিতা করেছিলেন গ্যারির বাবা রেগ।

গ্যারির দাবি, তার চাচা মূলত ‘কৌতুহল’ থেকে এ কাজটি করেছিলেন। এবং পরবর্তী জীবনে তিনি গর্ব করে বলতেন, ‘সে বছর ইল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ববি মুরের আগেই আমি ট্রফি ছুঁয়েছিলাম।’

Exit mobile version