Site icon Jamuna Television

জি-৭ বৈঠকের মধ্যেই কিয়েভে ব্যাপক হামলা রুশ বাহিনীর

জি-৭ বৈঠকে যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাট্টা পশ্চিমা শক্তি, তখন খোদ ইউক্রেনের রাজধানীতে মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। ক্রেমলিন বলছে, কিয়েভের অন্তত ২০টি স্থানে চলে এ হামলা। শুধু তাই নয় পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আর রক্তচক্ষুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে অব্যাহত রেখেছে দখলদারিত্ব। পূর্বাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর এবার রুশ বাহিনী অগ্রসর হচ্ছে দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোর দিকে। যেকোনো মুহূর্তে দখলে নেবে খারকিভ। খবর সিএনএনের।

ছুটছে একের পর রুশ ক্ষেপণাস্ত্র, লক্ষ্য কিয়েভ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড় ব্যবস্থা নিতে জার্মানিতে জি সেভেন সম্মেলনে একাট্টা হয়েছেন পশ্চিমা নেতারা। আর তাতে যেন বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, খোদ ইউক্রেনের রাজধানী লক্ষ্য করে রুশ বাহিনীর এই ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি।

এখন পর্যন্ত কিয়েভের অন্তত ২০টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে ধ্বংস হয়ে গেছে হাসপাতাল, স্কুল এবং আশ্রয় কেন্দ্রের মতো স্থাপনা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন আবাসিক ভবনও। এর পাশাপাশি ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে চলে বিমান হামলা। পশ্চিমা শক্তি যতই চাপ প্রয়োগ করুক না কেন, সামরিক অভিযান থেকে পিছু হঠবে না রুশ বাহিনী, এমন স্পষ্ট বার্তা এলো মস্কোর তরফ থেকে।

এ বিষয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেঙ্কোভ বলেন, ২টি অঞ্চলের আরও ৪টি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি আমরা। এসব শহরে ১ লাখের বেশি মানুষ বসবাস করেন। তারা যেন নিরাপদে শহরগুলো ছাড়তে পারেন সেই প্রচেষ্টা চলছে। এর পাশাপাশি বিমান হামলার কারণে তেতেরিভকা এবং ঝিটোমির শহর থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।

এদিকে, পশ্চিমা শক্তির নতুন মাথা ব্যথায় পরিণত হয়েছে বেলারুশ। দুদিন আগে, দেশটিকে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ইস্কান্দার মিসাইল দেয়ার ঘোষণা আসে রুশ প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে। এরফলে নতুন করে ঝুঁকির মুখে পড়েছে লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ড।

গেল ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার শুরুর পর থেকেই একের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে রাশিয়া। রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে কিয়েভকে দেয়া হয়েছে অস্ত্র, গোলাবারুদ থেকে শুরু করে কোটি কোটি ডলারের অর্থ সহায়তা। কিন্তু তবুও ঠেকানো তো দূরের কথা, গতিও যেন শ্লথ হয়নি রুশ বাহিনীর।

এটিএম/

Exit mobile version