Site icon Jamuna Television

নরসিংদীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু, নেই স্বজনের খোঁজ

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী:

সদর হাসপাতালে তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আনুমানিক ৫৫ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলার পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নাম-পরিচয় জানতে না পারা ওই ব্যক্তির লাশ শনাক্তের জন্য এখনও কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, শুক্রবার (২৪ জুন) ভোরের দিকে কে বা কারা অজ্ঞান অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ওই সময় তারা হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের বারান্দার সামনে তাকে ফেলে চলে যান। অজ্ঞান অবস্থায় সেখানে তাকে পড়ে থাকতে দেখেন চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনরা। পরে তাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকের সহকারীরা তাকে উদ্ধার করে তাকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে দ্বিতীয় তলার পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়। তার ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখিত নামের স্থানে ‘অজ্ঞাত’ ও বয়সের স্থানে ‘৫৫’ লেখা।

চিকিৎসকরা বলছেন, শুক্রবার ভোর থেকে সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই তিনদিন হাসপাতালটির পুরুষ ওয়ার্ডের একটি বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তার হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল। এছাড়াও রক্তশুন্যতায় ভুগছিলেন তিনি। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। পরে তার লাশ এই হাসপাতালেরই মর্গে পাঠানো হয়। গত তিনদিনে তার খোঁজ নিতে কেউ আসেননি। কি তার নাম-পরিচয়? তার পরিবারের সদস্যরাই বা কোথায়?

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) লোপা চৌধুরী জানান, একটা মানুষ তিনদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেন, অথচ তার খোঁজ নিতে কেউ এলেন না। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের জন্য নরসিংদী মডেল থানা পুলিশকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। পুলিশ তার নাম পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, আমরা মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের সদস্য বা স্বজনদের খোঁজ বের করার চেষ্টা করছি। আশা করছি তার নাম পরিচয় আমরা উদ্ধার করতে পারবো। যদি পরিবারের সদস্য বা স্বজনদের কারো খোঁজ না পাওয়া যায় তবে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।

/এনএএস

Exit mobile version