Site icon Jamuna Television

হজে গিয়ে ভিক্ষা, গ্রেফতার বাংলাদেশি

হজে গিয়ে ভিক্ষার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া মতিয়ার রহমানকে দেশে ফেরানোর অপেক্ষায় মেহেরপুরবাসী। জেলার দুর্নাম করায় তাকে তিরস্কার করছে স্থানীয়রা। ধর্ম পালনের নাম ভাঙ্গিয়ে ভিক্ষার ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। যদিও পরিবারের সদস্যদের দাবি মতিয়ার কীভাবে উপার্জন করেন সে সম্পর্কে কিছু্ই জানে না তারা। হাব সভাপতি বলছে, ব্যক্তির কাজ সম্পর্কে আগে থেকে জানা থাকে না তাদের। এক্ষেত্রে এজেন্সি বা সংগঠনের কিছুই করার নেই।

করোনার কারণে দুইবছর বন্ধ ছিল বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রা। এবছর হজের সুযোগ মেলায় সৌদি যাচ্ছেন নিবন্ধিত হাজিরা। এরইমধ্যে ২২ জুন মদিনায় সৌদি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন এক বাংলাদেশি। মতিয়ার রহমান নামের ওই বাঙালির বিরুদ্ধে হজে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে।

পরে সৌদিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হজ মিশন মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেয় মতিয়ারকে। তার বাড়ি মেহেরপুরের গাংনীতে। এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত মতিয়ার। তার বিরুদ্ধে গাংনী থানায় মামলাও আছে। প্রায় ত্রিশ বছর আগে বোমা বানাতে গিয়ে হাতের কব্জি হারান।

এরপর নানা প্রতারণা ও কৌশলে অর্থ উপার্জনে নামেন। যদিও পরিবারের সদস্যদের দাবি, মতিয়ারের উপার্জন সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি।

স্থানীয়রা জানান, ১২ বছর ধরে নিয়মিত হজে যান মতিয়ার। ভিক্ষার টাকায় গ্রামে কিনেছেন কয়েক বিঘা কৃষি জমি; হয়েছে পাকা দালান। তবে মতিয়ারকে কখনো মসজিদে দেখেননি তারা। স্থানীয়দের বিভিন্ন সময়ে ভারতে ও সৌদি আরবে প্রবাস জীবনের গল্প শোনাতেন মাতিয়ার। এভাবে ধর্ম পালনের নাম ভাঙ্গিয়ে ভিক্ষার ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।

এবছর ধানসিঁড়ি এজেন্সির মাধ্যমে হজে গিয়েছিলেন মতিয়ার। ব্যক্তির এমন আচরণের এজেন্সি বা সংগঠনের কিছুই করার নেই বলছেন হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ হাব এর সভাপতি শাহদাত হোসেন তসলিম। মতিয়ারকে দেশে ফেরানোর পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

/এনএএস

Exit mobile version