Site icon Jamuna Television

অন্তঃসত্ত্বা নারীরা কি রোজা রাখতে পারবেন?

অন্তঃসত্ত্বা নারীরাও কি রোজা রাখতে পারবেন? এই প্রশ্নটি আমরা সব সময় শুনে থাকি। রমজান মাসে রোজা রাখা নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীরা চিহ্নিতও হয়ে পড়েন। তবে চিন্তার কিছু নেই, অন্তঃসত্ত্বা নারীরা রোজা রাখতে পারবেন।

ধর্মীয় দিক থেকে, অন্তঃসত্ত্বা নারীদের রোজা না রেখে ফিদইয়া বা কাফফারা গ্রহণযোগ্য হবে না।  তবে যদি অবস্থা এমন হয় যে অভিজ্ঞ কোনো ডাক্তার, যিনি ধর্মীয় বিধানের গুরুত্ব ও রোজার সামগ্রিক দিক সম্বন্ধে যথাযথ ওয়াকিবহাল এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা জানার পর তাঁকে রোজা পালনে নিষেধ করে থাকেন; তখন তিনি রোজা ছেড়ে দিতে পারবেন। তবে এই নারী সন্তান প্রসবের পর সুস্থতা লাভ করলে তখন এই রোজা কাজা আদায় করবেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অন্তঃসত্ত্বা হলে রোজা রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে অনেক সময় তারা নানা সংশয়ে ভোগেন। তাদের জন্য বলছি, অন্তঃসত্ত্বা নারীরাও কি রোজা রাখতে পারবেন। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মেডিকেল চেকআপ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছেন তারা।

তবে রোজা রাখার আগে কিছু বিষয় অবশ্যই জানা জরুরি। আসুন জেনে নেই অন্তঃসত্ত্বা নারীরা রোজা রাখার আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল করবেন।

মেডিকেল চেকআপ

অন্তঃসত্ত্বা নারীদের রোজা থাকতে কোনো সমস্যা নেই। তবে সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। রোজার আগে ডাক্তারের কাছ গিয়ে চেকআপ করানোটা খুব জরুরি।

পুষ্টিকর খাদ্য

অন্তঃসত্ত্বা মায়েরা যেহেতু সারা দিন কিছু খেতে পারবেন না, তাই সাহরিতে পুষ্টিকর খাদ্য বেশি খেতে হবে। খাবারে রাখতে হবে দুধের প্রাধান্য।

ডিম, মাছ, মাংস

রোজায় অন্তঃসত্ত্বা নারীরা ডিম, মাছ-মাংস পরিমাণমতো খেতে হবে। কারণ একজন সাধারণ মানুষের তুলনায় অন্তঃসত্ত্বা মায়ের পুষ্টির প্রয়োজন বেশি। এক্ষেত্রে তারা ডাক্তারের কাছ থেকে রোজার আগে ও পরের সময়ের খাদ্য তালিকা নিয়ে নিতে পারেন। এতে মা ও বাচ্চা দুজনই সুস্থ থাকবেন।

রোজার আগে চেকআপ

অন্তঃসত্ত্বা মায়ের রুটিন চেকআপ ছাড়াও রোজা শুরুর আগে তার চেকআপ করাতে হবে। কারণ মনে রাখতে হবে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী মানে মা ও শিশু দুজনই।

১০ ঘণ্টা ঘুম

রমজানেও সময় বের করে প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা ঘুমাতে ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে অন্তঃসত্ত্বা মাকে।

Exit mobile version