Site icon Jamuna Television

দুয়ারে দাঁড়াচ্ছে নৌকা, খাবার পাচ্ছেন অভুক্ত বন্যাদুর্গতরা

নৌকায় চলছে রান্না।

বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে অসংখ্য মানুষ, প্রতিষ্ঠান। স্বেচ্ছাসেবীরা পৌঁছে গেছেন বানভাসীদের দুয়ারে দুয়ারে। শুকনো খাবার থেকে শুরু করে রান্না করা খাবার, সবই পৌঁছে দিচ্ছেন ভুক্তভোগীদের কাছে। তাদের মধ্যে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হলো ‘বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন’। দুর্গত এলাকায় নৌকায় ভেসে ভেসেই চলে রান্না আর বিতরণ।

সুনামগঞ্জে পুরান ঢাকার আরমান বাবুর্চির নেতৃত্বে নৌকায় করে তিনটি ডেকচিতে করে চলছে দিনভর রান্নার কাজ। দিনে আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষের জন্য রান্না করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। ট্রলার ভিড়ছে বিচ্ছিন্ন জনপদে। মেগাফোনের শব্দে ছুটে আসছে মানুষ।

এই ফাউন্ডেশনের সদস্য মিজানুর রহমান সৈকত বলেন, যখন ভাত পাওয়া যাচ্ছে না, তখন শারীরিক ও মানসিকভাবে একটা চাপ তৈরি হচ্ছে। এখানে অনেক মানুষ ভাত নিতে এসেছেন। তারা কেউ কিন্তু ফকির-মিসকিন নয়। বন্যার কারণে তাদের খাবার নিতে আসতে হয়েছে।

বন্যার পানিতে ভাসছে জনপদ। অনেকেই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। শুকনা খাবার আর চালডাল নিয়ে হাজির হচ্ছেন অনেকে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে রান্না করবে কোথায়? জ্বালানীরও সঙ্কট। ভাসমান এই রান্নাঘর একটু গরম খাবারের ব্যবস্থা করছে, পৌঁছে যাচ্ছে বানভাসীদের দুয়ারে দুয়ারে।

তবে এই বানভাসী মানুষদের দুর্ভোগ কমাতে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের আরও পরিকল্পনা আছে বলে জানান এই ফাউন্ডেশনের বোর্ড সদস্য মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন। বলেন, এখন যেহেতু পানি কমে যাচ্ছে, তাদের চাল-ডাল ও রান্নার প্রয়োজন হবে। আমাদের বড় ধরনের খাদ্য সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা আছে। তিনি আরও বলেন, অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছে, অনেকে ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। যাদের সামর্থ্য নেই আবার ঘরবাড়ি তোলার তাদের নিয়ে আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে। আমাদের একটা টিম আছে যারা সার্ভে করছেন।

এদিকে, উজানে বেড়েছে বৃষ্টি। সেই ঢল নামছে। তাই কমার বদলে নতুন করে বাড়ছে পানি। তাই দুর্ভোগের মেয়াদও বাড়ছে। কবে এই অসীম দুর্ভোগ শেষ হবে তা জানা নেই কারোর।

এসজেড/

Exit mobile version