Site icon Jamuna Television

কোরবানির হাটে ‘চাঁপাই সম্রাট’ এর আধিপত্য

খামারী গিয়াস উদ্দিনের সাথে চাঁপাই সম্রাট।

কোরবানির হাটে দাপট দেখাবে চাঁপাই সম্রাট। এমনটাই স্বপ্ন চাপাইনবাবগঞ্জের জুলফিকার আলীর। দরও হেঁকেছেন একেবারে ৩০ লাখ টাকা। গোপালগঞ্জের খামারী গিয়াস উদ্দিনের স্বপ্নও একই। কেবল টার্গেট করা দামেই বিক্রি করবেন তার টাইগার, দুরন্ত, রাজাবাবু আর ধলাপাহাড়কে। গরুগুলোকে দেখতে প্রতিদিনই খামারে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

তার নাম চাঁপাই সম্রাট। চালচলনে সম্রাটের মতো হলেও, আচরণে তিনি বেশ শান্তই। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের হাজারবিঘী গ্রামের জুলফিকার আলীর পোষা গাভী থেকে জন্ম সম্রাটের। ৫ বছর ধরে সন্তানস্নেহে লালন-পালন। জন্মের পর থেকেই সুঠামদেহী হওয়ায় আলাদাভাবে পশুটির যত্ন নেন জুলফিকার। এবারের কোরবানির হাট উপলক্ষে জুলফিকার চাঁপাই সম্রাটের দর হেঁকেছেন ৩০ লাখ টাকা। গরুটি ফ্রিজিয়ান জাতের।

এ প্রসঙ্গে খামারী জুলফিকার আলী বলেন, এলাকার কেউ যদি সঠিক দামে কেনেন তাহলে আমি সম্রাটকে এলাকাতেই বিক্রি করবো। আর যদি এলাকায় না হয় তাহলে ঢাকা গাবতলীর হাটে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।

দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা বলছেন, এতো বড় গরু আগে কখনও না দেখায় দেখতে এসেছেন। এমন সুন্দর প্রাণীটিকে দেখে একবাক্যে মুগ্ধ সবাই।

শুধু সম্রাটই না এবারের কোরবানীর হাটে দাপট দেখাবে গোপালগঞ্জের টাইগার, দুরন্ত, রাজাবাবু ও ধলাপাহাড়। ৪টি ষাঁড়কেই হাটে তুলবেন কাশিয়ানীর হোগলাকান্দি গ্রামের গিয়াস উদ্দিন। প্রায় ৩০ মন ওজনের টাইগার-দুরন্তের দর ৮ লাখ করে। আর ২৮ মণের রাজাবাবু-ধলাপাহাড়ের দর হেঁকেছেন সাড়ে ৬ লাখ করে।

কাশিয়ানীর অ্যাগ্রো ডেইরি ফার্মের মালিক গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমার টাইগার আর দুরন্তকে বিক্রি করবো ৮ লাখ করে মোট ১৬ লাখে। আর ধলা পাহাড় ও রাজাবাবুর দাম চাচ্ছি ৬ লাখ করে।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আজিজ আল মামুন বলেন, আমি খামারীদেরকে কাঁচা ঘাসের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে বলেছি। দানাদার খাদ্যের পরিমাণ কমায়ে নিয়ে আসলে খামারীরাও লাভবান হবেন।

খামারীরা জানিয়েছেন, খামারে গিয়ে অথবা অনলাইনেও টাইগার, দুরন্ত, রাজাবাবু আর ধলাপাহাড়কে কিনতে পারবেন ক্রেতারা।

/এসএইচ

Exit mobile version