Site icon Jamuna Television

নোয়াখালীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন, বিয়ে শেষে দফারফা

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর চাটখিলে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে প্রেমিক মেহেদি হাসান রাফির (২২) সঙ্গে অনশনরত দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রীর (১৬) বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার (১ জুলাই) গভীর রাতে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। এর আগে বেলা ১১টা থেকে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করে অনশন করে ওই কিশোরী।

প্রেমিক মেহেদি হাসান রাফি মোহাম্মদপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ডাক্তার বাড়ির ইসমাইল হোসেন হেলালের ছেলে এবং ওই কিশোরী স্থানীয় ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. জাফরুল ইসলাম জাফর বলেন, এর আগেও মেয়েটি ওই বাড়িতে কয়েকবার গিয়েছিল। তাকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছিলাম। শুক্রবার সকাল থেকে সে রাফিদের বাড়িতে গিয়ে আর ফিরতে চায়নি। তাই দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে রাতে বিয়ের আয়োজন করি।

স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, আমি ও ইউপি সদস্য জাফর মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বিদেশে থাকা তার বাবা ও দুই ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে তাদের অনুমতি নিয়ে রাতেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করি।

রাফির বাবা ইসমাইল হোসেন হেলাল জানান, আমি একটি মাদ্রাসার পিয়নের চাকুরী করি। আমার ছেলেটা বেকার। মেয়ের বাবা-ভাইয়েরা বিদেশে থাকে তাই প্রথমে রাজি ছিলাম না। পরে গ্রামের সবার অনুরোধে রাজি হই। বিয়েতে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়েছে। আমরা তাৎক্ষণিক একটি নাকফুল কিনে এনে এবং একটি গলার চেইন দিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করি। মেয়ে এখন আমাদের বাড়িতে আছে। সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন।

কিশোরী জানান, তিন বছর ধরে মেহেদি হাসান রাফির সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রাফি বিয়ে করবে বলে আমাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গেছে। পরে বিয়েতে অমত করায় আমি অনেকবার তাদের বাড়িতে আসি। অবশেষে তাদের বাড়িতে অনশন করতে বাধ্য হয়েছি। বিয়ের পর এখন আমি সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চাই।

জানতে চাইলে মেহেদি হাসান রাফি বলেন, মুরুব্বিরা সবাই মিলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা আমরা মেনে নিয়েছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমার স্ত্রী যেটা চাইছে সেটাই হয়েছে। আমার পরিবারও তাকে মেনে নিয়েছে।

এ বিষয়ে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, বিষয়টি শুনে রাতে ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে কেউ অভিযোগ দিতে রাজি না হওয়ায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি।

এটিএম/

Exit mobile version