Site icon Jamuna Television

কোভিডের ধাক্কা সামলে উঠলেও কমপ্লায়েন্সের অনিশ্চয়তা চামড়া শিল্পে

কোভিডের ধাক্কা সামলে উঠছে চামড়া শিল্প। এরই মধ্যে অর্ডার বেড়েছে ট্যানারিতে। তবে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত না হওয়ায় এখনো সাড়া দিচ্ছে না পশ্চিমা সব ক্রেতা। ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, হাইকোর্টের আদেশের পরও পরিবেশ দফতর ছাড়পত্র দিচ্ছে না। তাই খালাস করা যাচ্ছে না কেমিক্যালও। এভাবে চললে রফতানির বাজার ধরে রাখা কঠিন। অন্যদিকে, কোরবানির আগে ৫০ ভাগ বকেয়া পাওয়া ফেরত চান পোস্তার আড়তদাররা।

রাজধানীর পোস্তায় নিবন্ধিত আড়তদারের সংখ্যা প্রায় ৩০০। বরাবরের মতোই সারাদেশের চামড়া এখানে আনার পরিকল্পনা আড়তদারদের। নিজস্ব এজেন্ট নিয়োগ দেবে একাধিক ট্যানারি। আর মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দাপট তো আছেই। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ট্যানারি মালিকদের কাছে আড়তদারদের পাওনা প্রায় ২০০ কোটি টাকা। বড় অংকের এই বকেয়া তুলতে কয়েক দফা উদ্যোগ নেয়া হলেও, নানা কারণে ভেস্তে গেছে সেই উদ্যোগ।

এ নিয়ে হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব টিপু সুলতান বলেন, চামড়া ব্যবসায়ীদের টাকা না থাকলেও তারা কোনোভাবে ঝণ নিয়ে ব্যবসা করে। এখন সেই টাকা যদি আড়তদারদের কাছে তারা হারিয়ে ফেলে তাহলে তা খুবই দুঃখজনক।

ট্যানারির চামড়া নিয়ে কম পানি ঘোলা হয়নি। সাভারে কারখানা সরানোর ঝক্কি তো ছিলই। এরপর ৬ বছর পার হলেও, কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত হয়নি। কবে হবে কেউ জানে না। ফলে লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ বা এলডব্লিউজি সনদের অভাবে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পশ্চিমা ক্রেতারা। চামড়ার জুতা, ব্যাগ ও অন্যান্য পণ্য রফতানি হলেও তাতে লেখা যাচ্ছে না ‘মেড ইন বাংলাদেশ’। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কেন্দ্রীয়ভাবে সিইটিপি চালু করা না গেলে, বড় ট্যানারিকে নিজস্ব বর্জ্য শোধনাগার চালুর সুযোগ দেয়া উচিত। এই কোরবানিতে মৌসুমে অন্তত ১ কোটি পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য ব্যবসায়ীদের।

এসজেড/

Exit mobile version