Site icon Jamuna Television

‘আমাদেরকে আপুনির (তাজিন আহমেদ) মরদেহ দেখতে দেয়া হয়নি’

জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাজিন আহমেদের মৃত্যুর পর নানা ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে শোবিজ অঙ্গন থেকে। কেউ বলছেন আর্থিক অনটনে কষ্ট করতে করতে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি। দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গেও ডিভোর্স হয়েছে তার।
কেউবা বলছেন, এই অভিনেত্রীর মা বৃদ্ধাশ্রমে আছেন, কেউ বলছেন তিনি মিথ্যা চেকের মামলায় কারাগারে আছেন। আর কিছুদিন পর তার মুক্তি পাওয়ার কথা। এ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসেছিলেন তিনি। সাথে ছিলেন তিন বছর ধরে তাজিন আহমেদের দেখভাল করা মেকাপ আর্টিস্ট মিহির মহনও। বলেছেন, তাজিন আহমেদের কষ্টের জীবনের কিছু গল্প।

হিমু বলেন, মিডিয়ায় তাজিন আপুনিকে নিয়ে মিথ্যে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এখন মিডিয়ার অনেক মানুষ তাজিন আপুর বন্ধু দাবী করে নানা রকম কথা বলছেন। কিন্তু তিনি জিবিত থাকা অবস্থায় কেউ তার খবর রাখেনি। আর যে দাঁড়িয়েছে সর্বদা তার সাথে থেকেছেন তিনি মেকাপ আর্টিস্ট মিহির মহন। অথচ কোথাও কেউ তার নামটিও বলছেন না। কেন রে ভাই তারও তো একটা নাম আছে!

হিমু কাঁদতে কাঁদতে জানান, শেষ দিনগুলোতে তারা তাজিনের কাছাকাছি থাকলেও তাদেরকে তাজিন আহমেদের মরদেহ দেখতে দেয়া হয়নি।

মিহির মহন শোবিজের অনেক সেলিব্রেটি তারকাদেরই মেকাপ আর্টিস্ট ছিলেন। তাকে স্নেহ করতেন তাজিন। লাইভে এসে তারা তুলে ধরেন মৃত্যুর দিন সকাল থেকে তাকে কীভাবে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে, কীভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন, চিকিৎসার অবহেলা ও তাজিন আহমেদের শেষের সময়ের সংগ্রামের গল্প।

মিহির মহন জানান, দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গেও তাজিন আপুর ডিভোর্স হয়েছে- এটা মিথ্যা কথা। তাজিন আপু তাকে খুব ভালোবাসতেন। তার জন্য তিনি অনেক কষ্ট করেছেন। ছন্দ নামের এক গায়িকার সঙ্গে দুলা ভাইয়ের পরকীয়া ছিল। ওই মেয়েটি যখন দুলা ভাইয়ের নামে মামলা করেছিল তখন আপু দুলাভাইকে বাঁচাতে সিলেট আমার বোনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিল। দুলা ভাইয়েরে এমন কাজের পরও আপুনি তাকে খুব ভালোবাতেন। তার জন্যই তিনি আরও অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তাজিন আহমেদের এই কঠিন সময়ে অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম ও রোজী সিদ্দিকী দম্পত্তি ছাড়া তেমন কেউ পাশে দাঁড়াননি বলে উল্লেখ করেন হিমু ও মিহির।

তাজিনের সঙ্গে তার দ্বিতীয় স্বামীর ডিভোর্স হয়নি। তবে সম্পর্ক ভালো ছিল না। মৃত্যুর দিন সকালেও তাজিন তার স্বামীকে বারবার ফোন দিতে বলেছিলেন। কিন্তু মহন বারবার ফোন করেও তাকে পায়নি। তাজিনের নাম্বার সে ব্লক করে রেখেছিল বলেই জানান মিহির মহন।

এদিকে, এই লাইভ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর নানা ধরনের আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। বিশেষ করে শেষ সময়ে তাজিন আহমেদের কাছে থাকা মানুষগুলোকে তার মরদেহ দেখতে না দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

https://youtu.be/KSfhj9YWgGI

Exit mobile version