Site icon Jamuna Television

বাবাকে হত্যা করে কারাগারে ছেলে, দেড় বছর পর জানা গেলো জড়িত নাতিও

গ্রেফতারকৃত মো. আসিফ।

স্টাফ করেসপনডেন্ট, টাঙ্গাইল:

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার দেওভোগ দক্ষিণপাড়া এলাকার ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টাঙ্গাইল। হত্যাকাণ্ডের শিকার হযরত আলীর নাতি মো. আসিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানায় পিবিআই। জায়গা জমির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে চলমান পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

পিবিআইয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় হযরত আলী ও তার বড় ছেলে জাহাঙ্গীর এবং নাতি আসিফ কুমুল্লির বিলে নিজেদের জায়গায় পানি সেচে মাছ ধরতে যায়। সেখান থেকেই নিখোঁজ হন হযরত আলী। পরে ওই বছরের ৩ মার্চ সকালে বাদীর চাচাতো ভাই মোস্তফা তার ক্ষেতের পাশে পুকুরে কচুরীপানার মধ্যে একটি লাশ দেখতে পায়। এ সময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে বাদী মো. সুজন মোল্লা তার বাবার লাশ শনাক্ত করে। এ বিষয়ে মির্জাপুর থানায় অজ্ঞাতনামা একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে মামলাটির তদন্তভার পিবিআই গ্রহণ করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসিফ জানিয়েছে, নিহত হযরত আলী, সে ও তার মামা জাহাঙ্গীর মোল্লা ঘটনার রাতে মাছ ধরতে যায়। পরে জাহাঙ্গীর পেছন থেকে তার বাবা হযরত আলীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এ সময় আসিফকে তার মামা জাহাঙ্গীর হত্যার বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে এবং লাশ গুম করার জন্য সহযোগিতা করতে বলে। লাশ গুম করতে যদি সহযোগিতা না করে তাহলে তাকেও হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয় জাহাঙ্গীর। পরে আসিফ ও তার মামা হযরত আলীর লাশ পুকুরের এক পাশে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখে এবং নিহতের রক্ত পানি ও কাদা দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখে। পরে তারা বাড়ি চলে যায়।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের বড় ছেলে আসামি জাহাঙ্গীর মোল্লা কারাগারে রয়েছে। এবারে তার অপরাধ প্রমাণিত হবে।

এসজেড/

Exit mobile version