গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সামরিক সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এবং ন্যাটো যেসব আধুনিক অস্ত্র-গোলাবারুদ পাঠিয়েছে, তার কয়েকটি চালান বেহাত হয়ে গেছে বলে দাবি রাশিয়ার। বেহাত হওয়া এসব অস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের একাধিক কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে। ফলে বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসী তৎপরতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে সতর্ক করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর রিপাবলিকটিভির।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই শোয়গু বলেন, অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে সহায়তা হিসেবে যে পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদ পশ্চিমারা পাঠিয়েছে, সম্মিলতভাবে সেসবের ওজন আনুমানিক ২৮ হাজার টনেরও বেশি। আমরা জানতে পেরেছি যে, সেসব অস্ত্রের বেশ কয়েকটি চালান বেহাত হওয়ায় সেগুলো ইউক্রেনের সেনাবাহিনী পর্যন্ত পৌঁছায়নি। এসব চালানের অস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের একাধিক কালোবাজারে মিলছে। এজন্য সরাসরি ইউক্রেনভিত্তিক একটি চক্রকে দায়ী করেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, এর পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে। অস্ত্রগুলো কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর হাতে পড়লে বৈশ্বিক নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে।
এদিকে, রুশ গণমাধ্যম আরটি সম্প্রতি একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর সদস্য দেশসমূহের পাঠানো বিভিন্ন অস্ত্র চোরা বাজারে বিক্রি করছে একটি অসাধু ইউক্রেনীয় চক্র। এসব অস্ত্রের মধ্যে বন্দুক-হ্যান্ডগান ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট থেকে শুরু করে এনএলএডব্লিউ ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট সিস্টেম, ফিনিক্স ঘোস্ট ও সুইচব্লেড বিস্ফোরক ড্রোনের মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে। অস্ত্রের চোরাবাজার সম্পর্কে ধারণা রয়েছে— এমন যে কেউই এসব অস্ত্র কিনতে পারবে বলেও জানিয়েছে আরটি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ছিল ইউক্রেনে রুশ অভিযানের ১৩৬তম দিন। এই চার মাসে ইউক্রেনের লুহানস্ক, খেরসন, মারিউপোল, দোনেৎস্ক ও জাপোরিজিয়ার আংশিক এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী।
/এসএইচ

