Site icon Jamuna Television

প্রকৃতি রক্ষায় ৮০০ বিলিয়নের তহবিল গঠনের তাগিদ জাতিসংঘের

প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ৮০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠনের তাগিদ দিচ্ছে জাতিসংঘ। সম্প্রতি কেনিয়ার নাইরোবিতে শেষ হওয়া চতুর্থ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে এ প্রস্তাবের পক্ষে সরব ছিল বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলো।

অনিন্দ্য আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর কেনিয়া। রাজধানী নাইরোবিতে গেল জুনের শেষ সপ্তাহে বসেছিল দি পোস্ট-২০২০ গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্কের ৪র্থ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক। ১৬৮ টি দেশের পরিবেশ প্রশাসনের নীতিনির্ধারকরা ছিলেন এখানে। আলোচনায় বারবারই এসেছে জলবায়ু পরিবর্তনের মত জীববৈচিত্র্য রক্ষার বিষয়টি সমানভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে কিনা সে বিষয়টি।

জাতিসংঘের দায়িত্বশীলরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা- নিয়ে সমন্বিতভাবে আলোচনা করতে হবে।

ইউএনসিবিডির কো-চেয়ার ফ্রান্সিস বলেন, দেশগুলোর আলোচনা দেখে মনে হয় যেন এ দুটো বিষয়ের উভয়ের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ জলবায়ু পরিবর্তন জীববৈচিত্র্যকে সরাসরি প্রভাবিত করছে, কিন্তু তারপরও জলবায়ু পরিবর্তনকে এত বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয় যখন জীববৈচিত্র্যকে দেয়া হয় না।

আলোচনায় উঠে আসে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন রক্ষার বিষয়টি। বনের পাশাপাশি রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ এখানকার প্রাণী ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় আরো আন্তরিক হওয়ার তাগিদ ছিল বক্তাদের।

বেসিল ভ্যান হাভরে বলেন, শুধু বন্যপ্রাণী নয় মানুষের জন্যও এই বন রক্ষা করা খুবই জরুরি। এই বন পরিবেশ এবং পানির জন্য ফিল্টারের মত কাজ করে। সুতরাং ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট রক্ষা ও সংরক্ষণ করে দীর্ঘমেয়াদে ইকো সিস্টেমের কার্যকারিতা ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশের দায়িত্বশীলরা বলছেন, প্রাণ প্রকৃকি আর জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার আন্তরিক। তবে এ কাজে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ ও দক্ষ জনবলের কথা স্বীকার করে উন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তারা।

নাইরোবি বৈঠক সিদ্ধান্ত ছাড়া শেষ হলেও ডিসেম্বরে মন্ট্রিল সভাতেই এই অর্থায়ন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে সদস্য দেশগুলোকে।

এটিএম/

Exit mobile version