Site icon Jamuna Television

মাদক ব্যবসায় জড়িত: পুলিশের দুই এএসআই প্রত্যাহার

নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলের লোহাগড়ায় মাদক বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। তারা হলেন, লোহাগড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সুজন আহম্মেদ ফকির ও ইসমাইল হোসেন।

রবিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর সাথে জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা।

জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৫ মে) বিকালে পৌর শহরের জয়পুর জামরুলতলা এলাকা থেকে লোহাগড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সুজন আহম্মেদ ফকির ও ইসমাইল হোসেন পৌর শহরের জয়পুর গ্রামের বাবলু আহম্মদের ছেলে আবু নাঈম আকাশ (২২) ও লক্ষীপাশা গ্রামের বায়েজিদ হোসেনের ছেলে শাওনকে (২০) আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রাতে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে শাওনকে ছেড়ে দেয়া হলেও আবু নাঈম আকাশকে মাদক মামলা দায়ের করে আটক দেখানো হয়।

আকাশের মা রেক্সোনা বেগম অভিযোগ করে বলেন,‘আমার কাছ থেকে ওই দুজন পুলিশ কর্মকর্তা নগদ ৪ হাজার টাকা নিয়েও ১০ পিস ইয়াবাসহ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ উল্লেখ করে মামলা করে শনিবার সকালে আদালতে প্রেরণ করে। অথচ ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা টাকা নেয়ার সময় আমাকে বলেছিল আকাশকে মাদকসেবী হিসেবে উল্লেখ করে আদালতে পাঠানো হবে। কিন্তু মামলায় তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিষয়টি নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন(পিপিএম)কে অবহিত করা হলে শনিবার রাতে অভিযুক্ত ওই দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। এছাড়া ওই দু’কর্মকর্তা লক্ষ্মীপাশা গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে শ্রমিক মিলন (২৩) কে আটক করে ৫ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে মাদক ব্যবসায়ি হিসেবে উল্লেখ করে মাদক মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করে।

নড়াইলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ মেহেদী হাসান রবিবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, চলমান মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে কর্তব্যে অবহেলার দায়ে এএসআই সুজন ও এএসআই ইসমাইলকে রাতে নড়াইল পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।

Exit mobile version