ভাইরাল হওয়া ভিডিওর একটি দৃশ্য।
স্টাফ রিপোর্টার, পটুয়াখালী:
শিক্ষার্থীকে ফুঁসলে নেয়ার অভিযোগে হাফেজ মনিরুল ইসলাম নামের এক মাদরাসা শিক্ষককে মারধর করে মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পটুয়াখালীর বাউফল পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ডের হাজি সড়ক এলাকায় বাউফল মদিনাতুল উলুম নুরানি হাফিজি ক্যাডেট মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আনিসুর রহমানের নির্দেশে মাওলানা জসিম উদ্দিন ওই শিক্ষককের মাথা ন্যাড়া করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরই মধ্যে ভাইরাল। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাফেজ মনিরুল ইসলাম বাউফল মদিনাতুল উলুম নুরানি হাফিজি ক্যাডেট মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন। একজন ভালো শিক্ষক হিসেবে ছাত্র ও অভিভাবকদের মধ্যে তার সুনামও ছিল। ওই মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আনিসুর রহমানের সাথে তার মতবিরোধ দেখা দিলে সম্প্রতি তিনি চাকরি ছেড়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার লাউতলী জামিয়া মদিনাতুল উলুম মাদরাসায় শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন।
হাফেজ মনিরুল ইসলাম ওই মাদরাসা ছেড়ে দেয়ার পর কয়েকজন ছাত্রও সেখান থেকে অন্য মাদরাসায় ভর্তি হয়। কয়েক দিন আগে বাউফল পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের জাকির হোসেনের ছেলে মুজাহিদ (৮) ওই মাদরাসা ছেড়ে হাফেজ মনিরুল ইসলামের চাঁদপুরের মাদরাসায় গিয়ে ভর্তি হয়। এতে ক্ষুব্ধ হন বাউফল মদিনাতুল উলুম নুরানি হাফিজি ক্যাডেড মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আনিসুর রহমান। তার ধারণা হয়, শিক্ষক মনিরুল ইসলাম ওই ছাত্রকে ফুঁসলে নিয়ে চাঁদপুর তার মাদরাসায় ভর্তি করেছেন।
এরপর মাওলানা আনিসুর রহমান অভিভাবক পরিচয়ে অন্য একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে হাফেজ মনিরুল ইসলামকে কয়েকজন ছাত্র দেয়ার নামে চাঁদপুর থেকে গত ৩ জুলাই বাউফলে ডেকে আনেন। তিনি সেখানে এলে কালিশুরী এলাকার একটি মাদরাসার রুমে আটকে রেখে মারধর আনিসুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন তাকে মারধর করেন। এরপর এই মাদরাসা পরিচালকের নির্দেশে মাওলানা জসিম উদ্দিন নামের অপর এক শিক্ষক মনিরুল ইসলামের মাথা ন্যাড়া করে দেন এবং তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ও সাড়ে ৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে রাত ৮টার দিকে তাকে ছেড়ে দেন।
এদিকে বুধবার (৬ জুলাই) ওই শিক্ষকের মাথা ন্যাড়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়। পরে পুলিশের একটি টিম দুপুরে মদিনাতুল উলুম নুরানি হাফিজি ক্যাডেট মাদরাসায় অভিযান চালায়। তবে এ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি।
এসজেড/
Leave a reply