Site icon Jamuna Television

শেষ ১৩ ইনিংসে ফিফটি নেই রিয়াদের, অধিনায়কত্বে ১২ ম্যাচে ১ জয়

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

ক্রিকেটে একটা কথা আছে ‘ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্যা ফ্রন্ট।’ সিরিজের শেষ ম্যাচে ৩৯ বলে ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে সেই কথারই প্রতিফলন ঘটান ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। তবে বাংলাদেশ দলের চিত্র ভিন্ন। গোটা সিরিজে ব্যাট হাতে খোলস ছাড়তে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সব শেষ ১৩ ইনিংসে ফিফটি নেই রিয়াদের।

ব্যাক্তিগত পারফরম্যান্স ছাপিয়ে নজর কাড়ছে মাহমুদউল্লার অধিনায়কত্বও। উইকেটে ২ ডানহাতি ব্যাটসম্যান থাকলে অফস্পিনার আনা যাবে না কিংবা দুই বাহাতি ব্যাটারের জন্য লুকিয়ে রাখতে হবে অর্থডক্স বোলারকে; এমন নিয়ম যেন এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচেও ঘটেছে সেটি। অথচ দুই বাঁহাতি ব্যাটারকে ৪ রান দিয়ে উইকেট তুলে নেওয়ার পরও ১০ ওভার পর সাকিবকে নিয়ে আসেন রিয়াদ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও একই ঘটনা দেখা যায় দু’বার। একজন সাকিব আরেক জন মোসাদ্দেক সৈকত। তিনি মেডেন উইকেট নেওয়ার পর তাকে আর আনেনি অধিনায়ক। এ দিন নিজের প্রথম ওভারে সাফল্য পেলেও আর বল করাননি সাকিবকে। পরবর্তীতে সাকিবের হাতে বল দেয়া হয় ১৭তম ওভারে। ৫ ইকোনমিতে এদিন মাত্র ২ ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পান সাকিব আল হাসান। দলের সেরা বোলারকে ব্যবহার করতে না পারার ব্যর্থতার দায় কার?

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে মায়ার্স-পুরানে দিশেহারা হয়ে একের পর এক বোলার পরিবর্তনে পথ খুঁজে পাননি রিয়াদ। এ দিন অবশ্য ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করান মোসাদ্দেককে। মোট ৮ বোলারকে ব্যবহার করেছেন অধিনায়ক। তবে ১০ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় পয় উইন্ডিজ।

মাহমুদউল্লাহর অধীনে ১৬ টি-টোয়েন্টি জয়ের বিপরীতে হার ২৬। রিয়াদের অধিনায়কত্বের গ্রাফ এখন নিম্নগামী। শেষ ১২ ম্যাচে জয় ১টি। ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মূল পর্বে সব ম্যাচ হারের ব্যর্থতা। অক্টোবরে আবারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। চ্যালেঞ্চটা এমনিতেই বেশি। এমন নেতৃত্ব কতদূর নিতে পারবে বাংলাদেশ দলকে সেই প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের।

জেডআই/

Exit mobile version