Site icon Jamuna Television

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা কাল

ছবি: সংগৃহীত।

বছর ঘুরে আবারও আসছে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আযহা। বাংলাদেশে ঈদ-উল-আযহা পালিত হবে রোববার (১০ জুলাই)। বিশ্বের অন্যান্য মুসলমানদের সাথে বাংলাদেশেও সর্বোচ্চ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, যথাযোগ্য মর্যাদা, বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ত্যাগের মাধ্যমে কোরবানির ঈদ উৎসব পালিত হবে। ঈদের দিন রাজধানীসহ দেশের সকল মুসলমান বিনম্র হৃদয়ে ঈদ-উল-আযহার নামায আদায় করবেন এবং নামায শেষে মহান রবের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি দেবেন।

এই ঈদ মানেই পশু কোরবানি। এরই মধ্যে কোরবানির পশু কিনে বাড়িতে তুলেছেন অনেকে। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় পশুর দাম একটু বেশি বলে অভিযোগ ছিল ক্রেতাদের। বিক্রেতাদের দাবি ছিল, পশু খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও বন্যাসহ নানা কারণে লালনপালনের ব্যয় বেড়েছে। তাই লাভ ওঠাতেই এই দাম নির্ধারণ করেন তারা।

কোরবানির পর রাস্তায় রক্তের দাগ, বর্জ্য পদার্থ ইত্যাদি পরিষ্কারের বিষয়টি মূখ্য হয়ে আসে। একটুু সচেতন হয়ে কিছু নিয়ম পালন করলেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায় সুচারু রুপে। এতে ভালো থাকে পরিবার ও সমাজ। এর জন্য কয়েকটি পদক্ষেপ বিশেষভাবে নিতে হবে।

প্রথমত, যে স্থানে কোরবানি দেয়া হয়, সেই স্থানটি প্রচুর পরিমাণ পানি দিয়ে ঝাড়ু দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। গরম পানিতে অ্যান্টিসেপটিক লিকুইয়েড মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। পশুর মলমূত্র, রক্ত, আবর্জনা যেখানে-সেখানে না ফেলে বস্তা বন্দি করে রাখতে হবে সিটি করপোরেশনের জন্য। গ্রামে হলে গর্ত করে মাটি চাপা দিতে হবে অথবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

যেখানে পশু কোরবানি দেয়া হয় সেখানে পানি ঢেলে ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিতে হবে। এতে রক্তের গন্ধ এবং দাগ দুই কম হবে। মশার উপদ্রব ও অন্যান্য রোগ বালাই থেকে বাঁচতে ব্যক্তিগত সচেতনতার বিকল্প নেই বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

এসজেড/

Exit mobile version