Site icon Jamuna Television

সংকটে তুরস্কের অর্থনীতি, লিরার দর পতন অব্যাহত

হঠাৎ সংকটে তুরস্কের অর্থনীতি। বছরের শুরু থেকেই মার্কিন ডলারের বিপরীতে দুর্বল হচ্ছে লিরার অবস্থান। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। প্রেসিডেন্ট এরদোগান বৈদেশিক মুদ্রাকে স্থানীয় মুদ্রায় রূপান্তরের আহ্বান জানালেও আশ্বস্ত হতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন সংবিধানের কারণে নির্বাচনের পরও থাকবে এ সংকট।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি নেই আর এক মাসও। এমন সময় দেশটির অর্থনীতিতে মাথা ব্যাথার নতুন কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডলারের বিপরীতে লিরার দরপতন। ৫ মাসে লিরার দর কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ।

প্রেসিডেন্ট এরদোগান অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের আশ্বাস দিয়ে গেলবার ক্ষমতায় এলেও চলমান পরিস্থিতি ভোগাচ্ছে তাকে। সংকট সমাধানে আহ্বান জানিয়েছেন বৈদেশিক মুদ্রাকে লিরায় পরিবর্তনেরও। তবে এতে আশ্বস্ত না সাধারণ মানুষ।

প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে। সবার প্রতি অনুরোধ, গুজবে কান দিবেন না। ঐক্যবদ্ধভাবেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করবো। আপাতত যার কাছে যতটুকুই ডলার ও ইউরো আছে সব লিরায় রূপান্তর করে নিন। আশা করছি দ্রুতই স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি।

আঙ্কারার এক বাসিন্দা বললেন, নিত্যপণ্যের দাম কমার কোন লক্ষণই নেই। কিন্তু বেঁচে থাকার তাগিদে না কিনেও তো উপায় নেই।

আরেক তুর্কি নাগরিকের মতে, বেশি দামে পণ্য কিনতে রাজি নন সাধারণ মানুষ। কিন্তু আমরাও নিরূপায়। এমনকি যে ব্যাগে করে পণ্য সরবরাহ করবো সেটির দামও চড়া।

বিশ্লেষকদের মতে, আগাম নির্বাচনের ডাক দেয়ায় এই বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বৈদেশিক বিনিয়োগ কমে যাওয়াও একটি কারণ বলে মনে করছেন তারা।

অর্থনীতিবিদ ওজলেম দেরিচি সেনগুল বলেন, আগাম নির্বাচনের ঘোষণায় সরকারের সাথে ব্যবসায়ীদের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকেই পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগ তুলে নিয়েছে। সরকার এই দূরত্ব ঘোচাতে না পারলে সংকট দীর্ঘমেয়াদী হবে।

জুনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর নতুন সংবিধানে চলবে তুরস্ক। যার সাথে খাপ খাওয়াতে হবে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কাঠামোকে। ফলে সহসাই কাটছে না সংকট, এমনটাই আভাস বিশ্লেষকদের।

Exit mobile version