Site icon Jamuna Television

পাখিদের জন্য রিসোর্ট! (ভিডিও)

এমএম রিসোর্ট বিগ বার্ডসে সবচেয়ে প্রিয় খাবার দিয়ে নাশতা সারছেন এ ভদ্রলোক।

পাখিদের জন্য রিসোর্ট! শুনতে অবাক লাগলেও এমনই এক অভিনব আয়োজনের দেখা মিলবে ব্রাজিলের সাও পাওলো’তে। খাবার থেকে শুরু করে এখানে খেলাধুলার ব্যবস্থাও রয়েছে পাখিদের জন্য। করোনাকালে শুরু করা এ রিসোর্ট এখন পাখিরাও চিনে গেছে। তাই দূর-দুরান্ত থেকে জড়ো হয় বিভিন্ন জাতের পাখি। ব্রাজিলিয়ানদের কাছেও বেশ জনপ্রিয় এই রিসোর্ট। পাখি দেখতে প্রতিদিন সেখানে যান বহু দর্শনার্থী।

চারপাশের উঁচু উঁচু দালানের মাঝে নজর কাড়বে সাও পাওলোর বিশেষ একটি বাড়ি। ব্যস্ত নাগরিক জীবনে চলার পথে হঠাৎ থমকে যেতেই হবে বাড়ির সামনে গেলে। সেখানে দাঁড়ালেই জনবহুল শহরের যান্ত্রিক যন্ত্রণার জায়গায় হঠাৎ করেই কানে আসবে অসংখ্য পাখির কিচিরমিচির।

পাখিদের জন্য ‘এমএম রিসোর্ট বিগ বার্ডস’ নামের এমনই এক নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলেছেন সাও পাওলোর বাসিন্দা মার্সেলো ম্যাক্সিমো। এখানে পাখিদের নেই শিকারির আতঙ্ক, খাবার নিয়েও নেই কোনো দুশ্চিন্তা। আছে খেলাধুলার ব্যবস্থা। যখন ইচ্ছে আসা যায়, আবার মন চাইলে চলেও যাওয়া যায়। যেনো পাখিদের কোনো স্বর্গরাজ্য।

পাখিদের রিসোর্টের ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন এখানে

পাখিদের রিসোর্টের প্রতিষ্ঠাতা মার্সেলো ম্যাক্সিমো বললেন, এখন এটাই আমার পৃথিবী। কীভাবে ব্যখ্যা করবো তা আমার জানা নেই, তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি কিছু চাওয়ার সুযোগ পেলে এমন একটি পৃথিবীই চাইতাম। এখন মনে হচ্ছে, না চাইতেই ওপরওয়ালা এ রিসোর্টটি আমাকে দিয়েছেন।

গোটা শহরের প্রায় সব পাখিই এ রিসোর্টের অতিথি, শহরের বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকেও আসে এখন। যেন, কোন পাখিকে বিষণ্নতা পেয়ে বসলে বা মন খারাপ হলেই ছুটে আসে মার্সেলোর বাড়িতে।

মূলত করোনাকালে ঘরবন্দী জীবনের সময় বাড়ির আশপাশের পাখিদের দেখে তাদের জন্য কিছু করার চিন্তা মাথায় আসে মার্সেলোর। সেই ভাবনা থেকেই বানানো এমএম বিগ বার্ড রিসোর্ট।

রিসোর্টের প্রতিষ্ঠাতা মার্সেলো আরও বলেন, যখন আমি ঘরের সামনের এই রাস্তায় বসে অফিসের কাজ করতাম তখন আশপাশে অনেক পাখি চোখে পড়তো। এরপরই তাদের জন্য ঘর বানানোর সিদ্ধান্ত নেই। প্রথম প্রথম অবশ্য খুব একটা পাখি আসতো না এখানে। তারপর ধীরে ধীরে সংখ্যা বাড়তে থাকে। এখানে খাবার থেকে খেলাধুলা সব ব্যবস্থাই রয়েছে পাখিদের জন্য।

গোটা ব্রাজিলেই পাখিদের এ বাড়ি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই দূর-দুরান্ত থেকে পাখি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই।

/এসএইচ

Exit mobile version