Site icon Jamuna Television

মালগাড়ি থেকে শাড়ি চুরির ৪২ বছর পর রেলকর্মী গ্রেফতার

৪২ বছর কম সময় নয়। ঠিক ৪২ বছর আগে মালগাড়ি থেকে শাড়ি চুরি করেছিলেন এক রেলকর্মী। তাকে শনাক্ত করে পুলিশ অভিযানও চালিয়েছিল বেশ কয়েকবার। কিন্তু তার টিকিটিরও সন্ধান পায়নি৷ বুড়ো বয়সে এসে সেই রেলকর্মী যখন ভেবেছে শঙ্কার মেঘ যখন কেটেছে, তখনই সর্বনাশ হলো৷ পুলিশের জালে পাকড়াও হল সে৷

১৯৭৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর শীতের রাতে সহকর্মীদের সঙ্গে মালগাড়ির বডি ভেঙে ৮৯টি সিল্কের শাড়ি চুরি করেছিল রামাধর পাণ্ডে নামের সেই রেলকর্মী৷ সুরাট থেকে হাওড়াগামী গাড়িটি শালিমার আসার পরে জানা যায় পথেই খোওয়া গিয়েছে ৮৯টি শাড়ির একটি বান্ডিল৷ রেলের সম্পত্তি চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করে রেল পুলিশ৷ নয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়৷ তার মধ্যে ছিল রামাধরও৷ আটজন কর্মী গ্রেফতার ও সাময়িক বরখাস্ত হলেও রামাধর আর চাকরিতেই যোগ দেয়নি৷ ঘটনার ২২ বছর পর অর্থাৎ ২০ বছর আগেই রামাধরের বিরুদ্ধে স্থায়ীভাবে ওয়ারেন্ট জারি করে আদালত৷

রেল পুলিশ পুলিশ বিভিন্ন সময় তার বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু যতবারই পুলিশ হানা দিয়েছে ততবারই গা-ঢাকা দিয়েছে রামাধর৷ রায়পুর থানা থেকে রামধরের বাড়ি ছাপড়ার দূরত্ব অনেক৷ ফলে পুলিশি যেতে যেতেই কীভাবে যেন খবর পেয়ে পগার পার হয়ে যেতেন রামাধর৷

৪২ বছর পর রামাধরের বয়স পড়ে বাহাত্তরে। এরমধ্যে তিতিবিরক্ত রেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ৷ রায়পুর পুলিশ সুপারের আবেদনে ছাপড়ার পুলিশ সুপার রামধরকে ধরার দায়িত্ব নেন৷ রায়পুরের আরপিএফ এসআই সঞ্জয় বর্মার নেতৃত্বে একদল আরপিএফ শুক্রবারই ছাপড়ায় যায়৷ এরপর পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালায় শনিবার ভোর রাতে৷ এবার যাতে রামাধর পালাতে না পারে সেজন্য ১৫ সদস্যের যৌথবাহিনী গ্রামের ৮ কিমি দূরে গাড়ি রেখে অন্ধকারে পায়ে হেঁটেই রামাধরের বাড়িতে যায়৷ রাতের অন্ধকারে বাড়ির পুরো চত্বর ঘিরে ফেলেন কর্মীরা৷ সার্চ লাইট দিয়ে পুরো এলাকা আলোকিত করা হয়৷ এবার আর পালাতে পারেনি ঘাঘু রামাধর।
গ্রেফতার হয় পুলিশের হাতে। এতদিন পর চার দশকের পুরনো অপরাধের কী সাজা হয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

যমুন অনলাইন: এটি

Exit mobile version