Site icon Jamuna Television

বেগমগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা: অস্ত্রসহ গ্রেফতার আরও ৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে ছাত্রলীগ নেতা মো. হাসিবুল বাশার (২৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান আসামি মো. হাসানসহ আরও তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি এলজি, দু’টি কিরিজ ও একটি লোহার রড জব্দ করা হয়। ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার (১১ জলাই) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর আগে রোববার দিবাগত রাতে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার বারাহি গোবিন্দ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মহবুল্লাহপুর গ্রামের মৃত আবু মিয়ার ছেলে হাসান (৩১), হাসানের ভাতিজা ও মিন্টুর ছেলে জয় (২১) এবং তিতাহাজেরা গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে রুবেল (৩৪)।

পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত ৩ জন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তারা বিভিন্ন সময় দলের নেতাদের নাম ভাঙিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে। নিজেদের মধ্যে দলীয় আধিপত্য ও কোন্দলের জেরে ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল বাশারকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কুপিয়ে এবং জবাই করে হত্যা করে। গ্রেফতারকৃত তিন আসামি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে তারা তাদের সোর্স রুবেলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে হাসিবুল বাশারের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে এবং ঘটনার দিন রুবেলের তথ্যের ভিত্তিতে হাসিবুলের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে।

এসপি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পর হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী গজারিয়া খালে ফেলে দেয় তারা। গ্রেফতারের পর তাদের দেয়া এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সকালে ওই খাল থেকে দুটি কিরিজ ও একটি লোহার রড উদ্ধার করা হয়। পরে হাসানের মালিকানাধীন একটি প্রজেক্ট থেকে একটি এলজি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এ নিয়ে ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে গোপালপুর ১নং ওয়ার্ড কোটরা মোহাব্বতপুর গ্রামের জোড়া পোল এলাকায় হাসানের নেতৃত্বে মাসুম, মিন্টু, জয়, জাহিদসহ কয়েকজন অস্ত্রধারী হাসিবুলের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে তুলে নিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসিবুলকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় নিহতের চাচা সিরাজ মিয়া বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ইউএইচ/

Exit mobile version