Site icon Jamuna Television

আ. লীগে নতুন যোগ দেয়া ব্যক্তিদের অনুপ্রবেশকারী ভাবা হবে না

জামায়াত বাদে বিএনপি বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী যে কোনও দলের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগে নাম লেখাতে পারবেন। তবে বড় পদ পাবেন না তারা। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে এমন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, দলের নীতি-আদর্শে বিশ্বাস করলে নতুন যোগ দেয়া ব্যক্তিদের অনুপ্রবেশকারী মনে করা হবে না। একই কারণে বিভিন্ন নির্বাচনে দলের বিদ্রোহীদের বিষয়েও নমনীয় হবার পথে হাঁটছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের জেলা, উপজেলাসহ বিভিন্ন কমিটিতে সুযোগ পাচ্ছেন অনুপ্রবেশকারী নেতারা; এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আগামী ডিসেম্বর জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে এরইমধ্যে তড়িঘড়ি করে তৃণমূলের সম্মেলন আয়োজনে হাত দিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। কিন্তু অভিযোগ আছে, সম্প্রতি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ইউনিট কমিটির সম্মেলনে সুযোগ পেয়েছেন অনেক অনুপ্রবেশকারী। এ নিয়ে অভিযোগ জানালেও নেতৃত্বে অসন্তোষের দায় এড়াতে এসব বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে চান না কেউই।

ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জানান, অন্য দল থেকে আওয়ামী লীগে সুযোগ দেয়া হলেও দলীয় কৌশল হচ্ছে, তাদের রাতারাতি বড় কোনও পদ দেয়া যাবে না। বড় পদে পেতে অন্তত পাঁচ থেকে সাত বছর রাজনীতি করতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, যদি কোনো হাইব্রিড বা অনুপ্রবেশকারী এসে থাকে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যদি থাকে, তাহলে তার সমস্ত তথ্য আমাদের কাছে আছে। কোনো কর্মী বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করার অধিকার দলের গঠনতন্ত্রে দেয়া আছে।

তবে দলের যোগ্য নেতারা বঞ্চিত হচ্ছেন কিনা, সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, দলের দুর্দিনে ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে অনেক জায়গায় একেবারে সদ্য যোগদানকারী নেতাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়া হচ্ছে। এটা অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না, তৃণমূল পর্যায়ে। এ রকম অভিযোগ যদি থাকে, সেক্ষেত্রে আমরা সংশোধনের চেষ্টা করবো।

অনুপ্রবেশকারী নেতাদের দলে সুযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানান দলের শীর্ষ নেতারা। অন্যদিকে দলের বিদ্রোহীদের বিষয়ে নতুন কৌশল নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তারা।

দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, যারা বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন, তারা দলের কেউ হতে পারবেন না; বিষয়টি এ রকম না। দলের নিশ্চয় কেউ হতে পারবে এবং দলেরই তারা সন্তান। আমাদের ঘরেরই ছেলে তারা। সামনে জাতীয় নির্বাচন, সুতরাং সে নির্বাচনকেও সামনে রেখে আমাদের অনেকগুলো বিষয় পুনর্বিবেচনা বলেন, বিজয়ের ফসল ঘরে আনার জন্য কৌশল বলেন, নানা কিছু আমাদের নিতে হতে পারে।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে কেউ দলের জন্য ক্ষতিকর কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তারা। তাদের খুঁজে পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেবে দলের হাইকমান্ড।

/এমএন

Exit mobile version