Site icon Jamuna Television

জল্পনা সরিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে তামিমের অবসর

তামিম ইকবাল। ছবি: সংগৃহীত

বেশ কিছুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলছিলেন না বাংলাদেশের তারকা ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে এই সময়ে সরাসরি অবসরের ঘোষণাও দেননি তিনি। তাই বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে জল্পনা ছিল তামিম আর টি-টোয়েন্টিতে ফিরবেন কিনা। অবশেষে সব জল্পনায় পানি ঢেলে এই ফরম্যাট থেকে নিজের অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন বাহাতি এই ওপেনার।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাই করার পর সংবাদ সম্মেলনে আসলেও কিছু বলেননি তামিম। তবে এরপর নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম। ফেসবুক পোস্টে তামিম লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আজকে থেকে আমাকে অবসরপ্রাপ্ত হিসেবে বিবেচনা করুন। ধন্যবাদ সবাইকে।’ ফলে ৬ মাস বিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জানা গেল তামিমের সিদ্ধান্ত।

২০২০ সালের মার্চে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলেছিলেন তামিম। এরপর চোটের কারণে ছিলেন দলের বাইরে। পরে গত বিশ্বকাপেও তরুণদের সুযোগ দিতে নিজেকে সরিয়ে রাখেন এই বাহাতি ব্যাটার।

এই বছরেরই জানুয়ারিতে তামিমের টি-টোয়েন্টি খেলার ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছিলেন, আমি ওকে টেলিফোন করেছিলাম। ওকে বলেছি, তুমি আবার টি-টোয়েন্টিতে ফিরে আসো। এটা ছাড়বে কেন? তুমি আমাদের সেরা ওপেনার। অবশ্যই তোমার থাকা উচিৎ। তখন ও বলেছে, আপনি আমাকে জোর করবেন না। আপনি বললে তো আমার আসতেই হবে। কিন্তু আমি আসলে টি-টোয়েন্টিতে খেলতে চাই না।

নাজমুল হাসান পাপনও তাই তামিমকে এই বিষয়ে আর জোরাজুরি করতে চাননি। বলেন, তামিমের সেই উত্তর শোনার পর আমার মনে হয়েছে ওকে আর কিছু বলা উচিত নয়। কেউ খেলতে না চাইলে তাকে জোর করে খেলানো ঠিক না।

এরপর গত জুনের প্রথমদিকে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তামিম জানিয়েছিলেন, বোর্ডের সঙ্গে আমার যোগাযোগ নিয়মিতই আছে এবং তারা খুব ভালোভাবেই জানে, টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমার ভাবনা কোনটি। আমি স্রেফ নিজে সেই কথাটুকু বলতে চাই, সেই সময়টুকু চাই। সময় হলে আমার সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই আমি জানাব। ৬ মাস হতে তো এখনও দেড় মাসের বেশি বাকি। কিন্তু সেই সময়টার অপেক্ষা কেউ করছে না। এটাই দুঃখজনক।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মোট ৭৮ ম্যাচে খেলেছেন তামিম। যেখানে চট্টগ্রামের এই ড্যাশিং ওপেনারের ১১৭.২ স্ট্রাইকরেট ও ২৪.০৮ অ্যাভারেজে রান ১৭৫৮। ১টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি আছে ৭টি হাফ সেঞ্চুরি। এই ফরম্যাটে ওমানের বিপক্ষে তামিমের ১০৩ রানই বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়ের একমাত্র শতক।

জেডআই/

Exit mobile version