Site icon Jamuna Television

সন্তানের সামনে মাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, ওসিসিতে ভর্তি ভুক্তভোগী

খুলনা ব্যুরো:

খুলনায় বিবস্ত্র করে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন চালানোর ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। ১১ জুলাই, ঈদের পরদিন খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নে দশম শ্রেণির সন্তানের সামনে মাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে।

এর আগে চারদিন নির্যাতিত গৃহবধূ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি ছিলেন। ওসিসির সমন্বয়ক ডা. অঞ্জন কুমার চক্রবর্তী জানান, গৃহবধূর শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সোমবার (১৮ জুলাই) সকালে তার সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে। আরও কিছুদিন তাকে তত্ত্বাবধানে রেখে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।

এদিকে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার ১৪ আসামির মধ্যে নয়জন কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। আগামী ২১ জুলাই মামলায় গ্রেফতার হওয়া চার আসামির রিমান্ডের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। গৃহবধূকে নির্যাতনের মামলায় প্রধান আসামি আবদুল খালেক গাজী এখনও পলাতক রয়েছে।

ঈদের পরদিন, ঘটনার দিন সকালে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কয়রা উপজেলার গিলাবাড়ি কুচিরমোড়ে গফ্ফার গাজির ৬৪ শতক জমি দখল করতে যায় মহেশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারির লোকজন। এসময় গফ্ফার গাজির মেয়ে তাদের বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে দখলকারীরা। এক পর্যায়ে তারা তাকে টেনে-হিঁচড়ে বাড়ির বাইরে নিয়ে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বাঁধে। এরপর বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে। শতাধিক মানুষের সামনে বর্বরোচিত এ ঘটনা ঘটলেও কেউ গৃহবধূকে রক্ষা করতে পারেনি।

দীর্ঘদিন ধরে ৬৪ শতক জমি নিয়ে স্থানীয় খালেক গাজী, আফফার গাজী, লিয়াকত গাজী, শফিকুল ও শাখাওয়াত গাজীর সাথে বিরোধ চলছিল গফ্ফার গাজীর। বিরোধের জের ধরে নির্যাতিত গৃহবধূকে এর আগেও তারা মারধর করে।

ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি, এ ঘটনার পর বিচার চেয়ে মামলার সিদ্ধান্ত নেয় ভুক্তভোগী পরিবার। এর জন্য তারা উপজেলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলামের সাহায্য চান, এবং তাকে সাত হাজার টাকাও দেয়া হয়। তবে চেয়ারম্যান কোনো সাহায্য করেননি বলে অভিযোগ তাদের।

/এডব্লিউ

Exit mobile version