Site icon Jamuna Television

জ্বালানি সাশ্রয়ে অফিস সময় ৯টা-৩টা করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার

জ্বালানি সাশ্রয় ও কৃচ্ছতা সাধনে অফিস সময় সকাল ৯ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি বাসায় থেকে সরকারি অফিস করার সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। রাত ৮ টায় মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে বলে সতর্ক করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।

অফিস চলাকালে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পাশাপাশি কাজের সময়সূচি পুনর্নির্ধারণ করতে যাচ্ছে সরকার। সে অনুযায়ী সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ হতে পারে। এর পাশাপাশি করোনাকালের মতো বাসা থেকে অফিসের সিদ্ধান্তও সরকার বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত হতে পারে অফিসের সময়। অফিসের সময় কমিয়ে নাকি বাসা থেকে ভার্চুয়ালি অফিস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, নাকি দুটোই প্রয়োগ করা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেন অফিসে বিদ্যুৎ ও গাড়ির জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হন, সেদিকে নজর রাখা হবে বলে সতর্ক করেছেন জনপ্রশাসন ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের দুই প্রতিমন্ত্রী। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সরকারি অফিসগুলোতে যেন যত্রতত্রভাবে এসি ব্যবহার করা না হয়, সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সরকারি যানবাহনগুলোতে জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, মসজিদ, মন্দিরসহ উপসনালয়ে নামাজ ও প্রার্থনার সময় এসি চলবে। তবে এর আগে ও পরে বন্ধ রাখতে হবে এসিসহ অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ। এ সময় অনুরোধ জানানো হয়, যতটুকু সম্ভব বিদ্যুতের ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য। এ সময় রাত আটটার পর মার্কেট ও দোকনপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়নের হুঁশিয়ারি দেন নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, দোকানপাট, মল, আলোকসজ্জা সব বন্ধ থাকবে। যদি কেউ তা অমান্য করেন তার বিদ্যুতের সংযোগ আমরা বিচ্ছিন্ন করে দেবো। আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি, শিল্প কারখানায় যেন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পায়, সেদিকে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে সাশ্রয়ের সিদ্ধান্ত সাময়িক। সবাই নির্দেশনা মেনে চললে সংকট শীঘ্রই কেটে যাবে।

আরও পড়ুন: ডিপিডিসির ওয়েবসাইটে লোডশেডিংয়ের শিডিউল উধাও!

/এম ই

Exit mobile version