Site icon Jamuna Television

হতাশার সুরে সিইসি বললেন, আজ যদি বিদায় নিতে পারতাম!

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

নির্বাচনের মাঠে কেউ তলোয়ার নিয়ে এলে তাকে মোকাবেলায় বন্দুক নিয়ে দাঁড়ানোর পরামর্শটি কেবল কৌতুক ও প্রতীকী অর্থেই এসেছিল। অস্ত্রসহ প্রতিহত করতে বলা হয়নি। এমন মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল হতাশার সুরে বলেন, আজকে যদি বিদায় হতে পারতাম, ভালো লাগতো।

দ্বিতীয় দিনের সংলাপে সোমবার (১৮ জুলাই) নির্বাচন ভবনে ইসির সাথে সংলাপে রোববার সিইসির বলা তলোয়ার-বন্দুক নিয়ে বক্তব্যের প্রসঙ্গটি তোলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। এ সময় হতাশা প্রকাশ করে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আজকে যে অবস্থা, আজকে যদি বিদায় হতে পারতাম, ভালো লাগতো। পেপারে সব জিনিসগুলোকে…। পেপার এটা করবে। আমি মিডিয়ার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।

তবে এদিন সিইসি জানিয়েছেন কী প্রসঙ্গে রোববার কথাটি বলেছিলেন তিনি। এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ প্রসঙ্গক্রমে অস্ত্রের কথা তুলেছিলেন জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, তখন আমি বললাম, আপনিও এ রকম একটি নিয়ে দাঁড়াবেন। ওরা তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ালে আপনি বন্দুক নিয়ে দাঁড়াবেন। এটা কি কখনো মিন করা হয়?

সিইসি বলেন, একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এতটুকু জ্ঞান নেই? এই কথা সত্যি হলে আমি তো আর্মস অ্যাক্টে লায়াবল। পুলিশ আমাকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাবে। বুঝতে হবে, এটা অন্তর থেকে বলা হয়েছে, না কৌতুক করে বলা হয়েছে। দেশের পত্রিকাগুলোতে এটি এখন প্রধান খবর। একটা মানুষকে নামিয়ে দেয়া। এরপর তো আর কাজ করার মনোবলও থাকে না। ইচ্ছাও করে না।

এ সময় সিইসি জানান, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা সমালোচনায় হতাশ হয়ে ইউটিউব দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, গণমাধ্যমকে আমরা খুব সাপোর্ট দিই। তাদের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আমরা চাই সবকিছু গণমাধ্যমে যাক। খুব বেশি কিছু প্রাপ্তির আশায় নির্বাচন কমিশনে আসিনি। আমরা খুবই চেষ্টা করছি। আমাদের অনেকগুলো পরিশ্রম ভণ্ডুল হয়ে যায়। আবার কিছু কাজে লাগে। কিছু লাগে না। কিন্তু পরিশ্রম করে যাচ্ছি।

আরও পড়ুন: সিইসির বক্তব্যে চটেছেন বিএনপি নেতারা, তুললেন গ্রেফতারের দাবি

নির্বাচন কমিশনের সংলাপে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অভিযোগ করেন, ইসি সরকারি দলকে বেশি আপ্যায়ন করে, যেখানে অন্য অনেক দল ইসিতে ঢুকতেই পারে না। এ অভিযোগের জবাবে সিইসি বলেন, আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তিনি দলবল নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু আমার রুমে ঢুকতে পারেননি। পাশের রুমে বসিয়ে পরে এখানে আনা হয়েছিল। আমি ভুলে আগেই ওনাকে (ওবায়দুর কাদের) স্যার সম্বোধন করেছিলাম। এটা নিয়েও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছি। যেহেতু আগেই পরিচিত, সব সময় স্যার বলেছি। তারপর শিখলাম যে না স্যার বলা যাবে না। উনি (কমিশনার মো. আলমগীরকে দেখিয়ে) এ বিষয়ে আমাকে জ্ঞান দান করলেন।

আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে আমরা একটি সংকটের মধ্যে পড়ে গেছি: সিইসি

/এম ই

Exit mobile version