Site icon Jamuna Television

ত্রিশাল ট্রাজেডি: নবজাতকের দায়িত্ব নেয়া সেই ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে বাড়িতে পৌঁছালো সামগ্রী

সেই নবজাতকের বাড়িতে পৌঁছে গেছে সামগ্রী।

ময়মনসিংহ ব্যুরো:

ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় মৃত মায়ের গর্ভ থেকে অলৌকিকভাবে জন্ম নেয়া সেই নবজাতকের বাড়িতে সহায়তা পাঠিয়েছেন একজন ব্যবসায়ী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই ব্যবসায়ী শিশুটির ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে ত্রিশালের রায়মণি এলাকার বাড়িতে ওই শিশুটির পরিবারের সবার জন্য খাদ্য সামগ্রী, পোশাক এবং শিশুর চিকিৎসার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা পাঠান ত্রিশালের বিশিষ্ট সেই ব্যবসায়ী। নবজাতকের দাদা-দাদি ও ভাই-বোন এসব সামগ্রী গ্রহণ করেন।

জানা গেছে, নবজাতকের পরিবারের জন্য ৫০ কেজি চাল, ১০ কেজি আটা, ৪ কেজি আটা, ৬ কেজি তেল, ৫ কেজি মুড়ি ও ২ কেজি চিড়া পাঠান সেই ব্যবসায়ী। এছাড়া পেঁয়াজ ৫ কেজি, আলু ৫ কেজি, রসুন ১ কেজি, সাবান ৬ টি ও ২ কেজি ডিটার্জেন্ট পাউডারসহ লবণ, টুথপেস্ট, ব্রাসসহ বিভিন্ন শুকনা খাবার পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি নবজাতকের জন্য ৫ সেট পোশাক, নবজাতকের বোন ও ভাইয়ের জন্য ৬ সেট পোশাক, দাদার জন্য শার্ট ও পাঞ্জাবি এবং দাদির জন্য শাড়ি দেয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ ব্যাক্তির প্রতিনিধি জানান, নিয়মিত ভরণপোষণের জন্য যা যা প্রয়োজন সব পাঠাবেন ওই ব্যবসায়ী।

এদিকে, ঘাতক ট্রাক চালককে সোমবার (১৮ জুলাই) সাভার থেকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) প্রেস ব্রিফিংয়ে র‍্যাব জানিয়েছে, রাজু নামের ওই ট্রাক চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না। ট্রাকটি ছিল ফিটনেসবিহীন। এছাড়া ঘটনার দিন অনুমোদনের দ্বিগুণ ওজন নিয়ে চলছিল ট্রাকটি। টানা কয়েকদিন ধরে ট্রাক চালাচ্ছিল রাজু। এতে শারীরিকভাবেও অসুস্থ ছিল সে।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় মারা যান অন্তঃসত্ত্বা রত্না বেগম, তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম ও মেয়ে। ওই সময় অলৌকিকভাবে মায়ের গর্ভ ফেটে ভূমিষ্ঠ হয় ফুটফুটে এক নবজাতক। এ ঘটানায় শিশুটির একটি হাতের হাড় ভাঙা ছাড়া আর কোনো ক্ষতি হয়নি। নিহত জাহাঙ্গীর আলম পেশায় দিনমজুর ছিলেন। তাদের আরও দুই ছেলে-মেয়ে আছে।

এসজেড/

Exit mobile version