Site icon Jamuna Television

আবারও বেড়েছে চার্জার লাইট-ফ্যানের চাহিদা, সক্রিয় অসাধু চক্রও

ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের দোকানে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়।

তীব্র গরম থেকে বাঁচতে এবং লোডশেডিংয়ের কারণে বিকল্প পণ্যে ঝুঁকছে মানুষ। বাজারে এখন চাহিদা বেড়েছে চার্জিং লাইট, ফ্যান ও আইপিএসের মতো পণ্যের। চাহিদা বাড়ায় মজুদ করে এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার কথা জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

বিদ্যুৎ সঙ্কট মোকাবেলায় এখন দেশজুড়ে শুরু হয়েছে এলাকাভিত্তিক এক থেকে দুই ঘণ্টার লোডশেডিং। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে আনায় এমন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে তীব্র গরমের হাত থেকে বাঁচতে এবং বিদ্যুৎ সংরক্ষণে নানামুখী পণ্যে ঝুঁকছে মানুষ। চার্জার লাইট এবং ফ্যানের চাহিদা এখন তুঙ্গে। অনেকে কিনছেন মোবাইলের পাওয়ার ব্যাংকও।

এদিকে, সুযোগ বুঝে এসব পণ্যের দাম বাড়িয়েছে অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা। সব ধরনের চার্জার লাইটে দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। আর প্রতিটি চার্জার ফ্যানের দাম বেড়েছে অন্তত ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।

লোডশেডিং থেকে রক্ষা পেতে আইপিএস, ইউপিএস এবং জেনারেটরও কিনছেন কেউ কেউ। তবে দাম নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের দাম ওঠানামা করায় এলসি বা ঋণপত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে, এতেই বাড়ছে দাম।

অন্যদিকে, লোডশেডিং ঘোষণার পরই আগের মজুত করা পণ্যের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে কেউ কেউ। তবে অযৌক্তিক দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে নেমেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ডিজি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, চার্জার লাইট ও ফ্যানের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবেই অনৈতিক। দোকানীদের দোকানে বা স্টকে যে পণ্যগুলো আছে সেগুলোর তো দাম বাড়েনি। এভাবে মানুষকে জিম্মি করা, ঠকানোর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলবে।

এসজেড/

Exit mobile version