Site icon Jamuna Television

সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এক বীমা কোম্পানির কো-অর্ডিনেটরের বিরুদ্ধে

অভিযুক্ত বীমা কর্মচারী ফরীদা ইয়াসমীন।

গ্রাহকদের প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কো-অর্ডিনেটরের বিরুদ্ধে। পাওনা টাকা তুলতে বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে এরইমধ্যে মামলা হয়েছে থানায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্রাহকদের দাবি অনুযায়ী অন্তত সাড়ে ৩ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ আছে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের এই কর্মচারীর বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের কো-অর্ডিনেটর ফরিদা ইয়াসমীনের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ সদরে প্রায় ১২০০ মানুষ সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে বিভিন্ন মেয়াদী বীমা করে। ২০০৭ সালে করা এসব বীমার কিস্তি মাসে ২০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। শর্ত ছিল মেয়াদ শেষে দ্বিগুণ টাকা দেবে বীমা কোম্পানি। কিন্তু ২০১৭ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে টালবাহানা শুরু করেন ফরিদা। ৫ বছর পরও এর কোনো সমাধান না হওয়ায় একপর্যায়ে ফরিদা ইয়াসমীনের বাড়ি ঘেরাওসহ মামলা দায়ের করেন ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের বেশ কয়েকজন।

শুধু গ্রাহকদের টাকাই নয়, ব্যক্তিগতভাবে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েও হয়রানীর অভিযোগ আছে ফরিদা ইয়াসমীনের বিরুদ্ধে। আর তা নিয়েও মামলা চলছে থানায়। ভুক্তভোগীদের একজন হলেন শিক্ষক তানজুম আরা। তিনি বলেন, গত বছরের অক্টোবর মাসে আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে ফরিদা ইয়াসমীন। তিনমাসের মধ্যে পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বাক্ষীদের সামনে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেন তিনি। কিন্তু এখনও সে টাকা পাইনি। তিনি আরও জানান, আমাকে পরে একটা চেক দেয়া হয়। সেটি ব্যাংকে নিয়ে ৩ দিন ঘুরলেও কোনো টাকা পাইনি। পরে আমি তার বিরুদ্ধে মামলা দিই। এনিয়ে যেকোনো উপায়ে ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার আশ্বাস দেন সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জুলফিকার আলম খান।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন ফরিদা। অভিযুক্তের স্বামী গোলাম মোস্তফা বলেন, আপনারা যারা বীমা করেছেন এবং মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে তাদের টাকা ১ মাসের মধ্যে পেয়ে যাবেন। যদিও সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কর্মকর্তারা ক্যামেরায় কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি। পুলিশ বলছে, প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

এসজেড/

Exit mobile version