Site icon Jamuna Television

নতুন সরকারেও ভরসা নেই, শ্রীলঙ্কায় দেশ ছাড়ার হিড়িক

ছবি: সংগৃহীত।

নতুন সরকারেও আস্থা নেই লঙ্কানদের। তাই ভালোভাবে বেঁচে থাকার আশায় দেশ ছাড়তে চাইছেন হাজার হাজার মানুষ। প্রতিদিনই পাসপোর্টের জন্য জমা পড়ছে অসংখ্য আবেদন। ইমিগ্রেশন অফিসগুলোর সামনে লেগে আছে দীর্ঘ লাইন। ফলে ২৪ ঘণ্টাই চলছে কার্যক্রম। এরই মধ্যে দেশ ছেড়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ। ডয়েচে ভেলে ও রিপাবলিক ওয়ার্ল্ডের।

পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ইমিগ্রেশন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। ২৪ ঘণ্টাই খোলা রাখতে হচ্ছে অফিসগুলো। আগে পাসপোর্টের জন্য প্রতিমাসে গড়ে ৫০ হাজার আবেদন জমা পড়লেও গত জুনে সে সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২২ হাজারের বেশি। জুলাইয়ে এ চাপ আরও বেড়েছে।

বর্তমানে নানামুখী সঙ্কটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার জনজীবন। জ্বালানি, খাবার আর প্রয়োজনীয় ওষুধের তীব্র সঙ্কট দেশটিতে। এছাড়া চাকরি হারিয়েছেন হাজার হাজার লঙ্কান। পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেকের কাছে। নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে নানামুখী সংস্কারের ঘোষণা দিলেও ভরসা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। তাই উন্নত জীবনের আশায় যত দ্রুত সম্ভব দেশ ছাড়তে চাইছেন লঙ্কানরা।

চলতি বছরের শুরু থেকেই চরম অর্থনৈতিক ও রাজনৈতি সঙ্কটে পড়ে শ্রীলঙ্কা। কাজের খোঁজে এখন শ্রীলঙ্কানরা ভারত, সৌদি, কুয়েত কিংবা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন বেশি। এ নিয়ে একজন নাগরিক বলেন, নতুন সরকারকেও আমরা ভরসা করতে পারছি না। এ কারণেই আমরা দেশ ছাড়তে চাই। এখানে থাকা আর সম্ভব না। পেট্রোল নেই, ডিজেল নেই, গ্যাস নেই, চাকরি নেই, কিছুই নেই এখানে।

এদিকে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর আজই মন্ত্রিসভা ঘোষণার কথা রয়েছে রনিল বিক্রমাসিংহের। অবশ্য মন্ত্রিপরিষদের কলেবর সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা যায়নি। দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা দিনেশ গুনাবর্ধনে। শুক্রবার (২২ জুলাই) প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে শপথ গ্রহণ করেন ৭৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিক।

এসজেড/

Exit mobile version