Site icon Jamuna Television

চাল আমদানিতে গতি নেই

চাল আমদানির খবরের প্রভাব পড়েনি স্থানীয় মোকামে। গত ২ সপ্তাহে কেজিতে চালের দাম বেড়েছে অন্তত ২ টাকা। বিদেশের বাজারেও বাড়তি দাম। ডলারের বিনিময় মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় আমদানি কার্যক্রমে তেমন গতি নেই। দশ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হলেও এসেছে মাত্র ৫১২ টন। আমদানি করা চালের দাম বর্তমান বাজার দরের চেয়ে বেশি হবে, এমন শঙ্কায় অনেকে এলসি খুলছে না।

দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম বেড়েছে অন্তত ২ টাকা। রাজধানীর কৃষি মার্কেটে ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৫ টাকায়, মিনিকেট ৬৬-৬৮ আর মান ভেদে নাজির শাইল বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮৮ টাকায়। ব্যবসায়ীদের দাবি, আপতত দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই।

ভারত থেকে প্রতি কেজি মোটা (জাতের স্বর্ণা) চাল আমদানিতে দাম পড়ছে ৪৫-৪৭ টাকা আর চিকন জাতের (শম্পা) চালের দাম পড়ছে ৬৬ থেকে ৬৭ টাকা। স্থানীয় বাজারে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৫ টাকায় আর চিকন চাল ৬৬ থেকে ৬৭ টাকায়। লোকসানের আশঙ্কায় আমদানিতে অনেক ব্যাবসায়ীর আগ্রহ নেই।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক দিনেশ পোদ্দার বলেন, ভারতে যদি দাম কমে বা ডলারের মূল্য কমলে চাল আমদানি সম্ভব। আমদানিকৃত চাল বাজারে ছাড়া হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সরকারের তদারকির প্রয়োজন বলেও মনে করেন অনেক ব্যবসায়ী। এতে চালের দাম কমতে পারে বলে মনে করেন তারা।

চালের ঊর্ধ্বমুখী বাজার নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। সেই সাথে আমদানি শুল্ক ৬৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়।

এসজেড/

Exit mobile version