Site icon Jamuna Television

চিকিৎসক পরিচয়ে সরকারি হাসপাতালে রোগীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

চিকিৎসক পরিচয়ে রোগীর কেবিনে প্রবেশ করে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। অভিযুক্ত যুবকের নাম মঞ্জুরুল হায়দার জনি (৩৫)। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে অনধিকার প্রবেশ ও ভর্তিকৃত রোগীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে মামলাটি করে।

শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেলে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে চাটখিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত মঞ্জুরুল হায়দার জনি চাটখিল পৌরসভার সুন্দরপুর এলাকার মৃত শাহাদাত উল্যার ছেলে। হাসপাতালের সামনে হায়দার ফার্মেসি নামে তার একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গেল ১৯ জুলাই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জ্বর ও সর্দি নিয়ে হাসপাতালের একটি কেবিনে ভর্তি হন ভুক্তভোগী ওই নারী (২৪)। পরদিন বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ওই কেবিনে প্রবেশ করে অভিযুক্ত মঞ্জুরুল হায়দার জনি। কেবিনে গিয়ে সে কৌশলে রোগীর স্বজনদের বাইরে বের করে দেয়। পরে ওই রোগীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকারত স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে জনি। একপর্যায়ে রোগী চিৎকার করলে দ্রুত কেবিন থেকে পালিয়ে যায় জনি। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নারী বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ঘটনার প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ধর্ষণের চেষ্টাকালে চিৎকার করলে আসামি গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি।

চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মোশতাক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যেহেতু জনি আমাদের হাসপাতালে অনধিকার চর্চা করে প্রবেশ করে কেবিনে ভর্তিকৃত রোগীকে যৌন হয়রানি করেছে, সে কারণে আমরা হাসপাতালের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছি।

তিনি আরও বলেন, অভিযোগের তদন্তে হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. তানজিনা হককে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, হাসপতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শহীদুল আহমেদ নয়ন, ডা. ইকরাম বিন ফারুক ও নার্সিং সুপারভাইজার আয়েশা আক্তার।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এটিএম/

Exit mobile version