Site icon Jamuna Television

স্ত্রী ও শ্যালিকাকে দায়ী করে ফেসবুক লাইভে যুবকের আত্মহত্যা

নিহত যুবক শাহজালাল।

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:

আমার মৃত্যুর জন্য স্ত্রী ও শ্যালিকাসহ শ্বশুর-শাশুড়ি দায়ী, ফেসবুক লাইভে এসে এমন অভিযোগের পর বিষপান করে যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায়। শুক্রবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় যুবক মো. শাহজালালের (২৮)। নিহত শাহজালাল স্থানীয় মাহফুজ পাগলার ছেলে।

এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি। সেখানে নিজের দাম্পত্য কলহ নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় শাহজালালকে। দাম্পত্য কলহের কারণেই তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে থাকতো বলে জানান তিনি। তারপরও সন্তানদের কথা চিন্তা করে সংসার চালিয়ে যেতে চান বলে জানান এই যুবক। তার অভিযোগ, স্ত্রী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে অনেক বোঝানো চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। তার মৃত্যুর জন্য স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও শ্যালিকা দায়ী বলেও অভিযোগ করতে শোনা যায় ভিডিওটিতে।

নিহতের স্বজনরা জানান, বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহফুজ পাগলার ছেলে শাহজালাল। তার সাথে প্রায় ১০ বছর আগে একই ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলমের মেয়ে পপি আক্তারের (২৫) বিয়ে হয়। দশ বছরের সংসার জীবনে তাদের দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।।

গত প্রায় এক বছর ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শাহজালাল-পপির মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। দাম্পত্য কলহ বাড়তে থাকলে এক-দেড় মাস আগে পপি রাগ করে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। সন্তানদের কথা চিন্তা করে পপিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল শাহজালাল। কিন্তু কোনোভাবেই পপি বা তার বাবার বাড়ির লোকজন তাতে সম্মত ছিল না। অবশেষে সেই হতাশা থেকেই ফেসবুক লাইভে এসে বিষপান করেন শাহজালাল।

খবর পেয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় স্বজনরা তাকে প্রথমে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা খারাপ হতে থাকলে সেখান থেকে তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুক্রবার রাত ১১টার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শাহজালাল।

এ নিয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রইছ উদ্দিন জানান, স্থানীয়ভাবে আত্মহত্যার একটি খবর পেয়েছি এই ঘটনা এখনো পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।

এসজেড/

Exit mobile version