Site icon Jamuna Television

পাবলিক প্লেস ধূমপানমুক্ত রাখতে জরিমানা বাড়াতে হবে: বিশেষজ্ঞদের মত

ধূমপানে এসেছে নতুনত্ব। ই-সিগারেট, ভ্যাপিংসহ নানা নামের বাহার। পাবলিক প্লেসে ‍ধূমপান করলে জরিমানাও কম। আবার স্মোকিং জোন নামে আছে ধূমপানের সুযোগও। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালের সীমানার মধ্যে পান-সিগারেটের দোকান অহরহ। সিগারেটের প্যাকেটে সতর্কবার্তা ছোট আকারের হওয়ায় তা দৃষ্টি এড়িয়ে যায় অনেকের। এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেলের সভাপতি শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এই মুহূর্তে যেটি দরকার ই-সিগারেটের একটা ব্যাখা দরকার। এটিও একটি টোব্যাকো পণ্য। এই মুহূর্তে সিগারেট হয়তো নিষিদ্ধ করার সময় হয়নি। আমার মনে হয়, ই-সিগারেট শুরু থেকেই নিষিদ্ধ করার সময় চলে আসছে।

বছর বছর বাড়ছে ধুমপায়ীর সংখ্যা। তাদের ধোঁয়ায় ক্ষতির মুখে অধূমপায়ীরাও। এরমধ্যে ই-সিগারেট, ভ্যাপ, ভ্যাপিং যে নামেই হোক না কেন এর জনপ্রিয়তা তরুণদের মধ্যে তুঙ্গে। নানা ফ্লেভারে আকৃষ্ট হচ্ছেন তরুণ-তরুণীরা। কিন্তু তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এর কোনো উল্লেখ নেই। তাই এর উৎপাদন, আমদানি, রফতানি, সংরক্ষণ, বিজ্ঞাপন, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন বন্ধ করা যাচ্ছে না।

পাবলিক প্লেস বা পরিবহন ধূমপানমুক্ত রাখতে আইনে জরিমানা বাড়িয়ে ১০০০ টাকা নির্ধারণের পক্ষে বিশেষজ্ঞরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, খেলাধূলার স্থানের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।

মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা সভাপতি ড. অরূপরতন চৌধুরী বলেন, স্কুলে যাবেন, এর সামনেই দোকান; তাতে চা বিস্কুটের সাথে বিক্রি হচ্ছে সিগারেট। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালের ১০০ গজের মধ্যে সিগারেটের কোনো দোকানের অনুমতি দেয়া না হয়।

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশেই সিগারেটের প্যাকেটে সবচেয়ে ছোট আকারে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা মুদ্রণ করা হয়। ভারতে তামাকপণ্যের প্যাকেটে ৮৫ ভাগ এবং নেপালে ৯০ শতাংশ জায়গা জুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা মুদ্রণ করা হয়।

আইনজীবী ও তামাক নীতি বিশ্লেষক সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, ছবিসহ সতর্কবাণী পরিবর্তন এখন খুব জরুরি। জানিয়েছেন, দেশে তামাকপণ্যের প্যাকেটে ন্যূনতম ৯০ শতাংশ সতর্কবার্তা করা উচিত। যাতে মানুষকে তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আরও সচেতন করা যায়।

অবিলম্বে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন ছাড়া তামাক ব্যবহার কমানো সম্ভব না বলে মনে করেছেন বিশ্লেষকরা।

/এমএন

Exit mobile version