Site icon Jamuna Television

নেত্রকোণায় শিশুকে শেকলে বেঁধে মাথা ন্যাড়া করে নির্যাতন

স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোণা:

নেত্রকোণার মদনে চুরির অপবাদ দিয়ে ১১ বছর বয়সী একটি শিশুকে শেকলে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে শিশুটির চাচা এমদাদুল হক বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিন জনকে আসামি করে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে, নির্যাতনের শিকার শিশুটি বর্তমানে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ঘটনায় করা মামলার আসামিরা হলেন, ফতেপুর ইউনিয়নের রুদ্রশ্রী গ্রামের মো. কাজল মীর, তার ছেলে মো. হুমায়ুন মীর (২৫) ও সুমন মীর (২১)।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শনিবার সকালে সুমন মীর তার ঘরের একটি বাক্সে সাড়ে ১১ হাজার টাকা রাখেন। তখন সেখানে তার পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও প্রতিবেশী ওই শিশুটি উপস্থিত ছিল। বিকেলে হাওর থেকে ফিরে বাক্সে টাকা না পেয়ে ওই শিশুকে সন্দেহ করেন তিনি। রাত আটটার দিকে সুমন শিশুটিকে ধরে এনে তার ঘরে পরিবারের লোকজন নিয়ে রাতভর নির্যাতন করেন। পরে রোববার সকালে শিশুটির মাথা ন্যাড়া করে বাড়ির সামনে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন তিনি। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুলতান উদ্দিন শিশুটিকে মুক্ত করেন।

নির্যাতনের শিকার শিশুটি বর্তমানে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। শিশুটি সাংবাদিকদের জানায়, সে কোনো টাকা চুরি করেনি। অহেতুক সন্দেহ করে সুমন ও তার বাবা-ভাই তাকে আটকে রেখে, মাথার চুল কেটে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে মারপিট করেছেন। সে এ ঘটনায় বিচার চায়। এদিকে, মামলার পর থেকে অভিযুক্ত সুমন মীর, তার বাবা ও ভাই পলাতক রয়েছেন।

এর আগে রোববার সকালে সুমন মীর বলেছিলেন, ওই শিশুর সামনে সাড়ে ১১ হাজার টাকা গুনে বাক্সে রাখি। সে আমার টাকা চুরি করেছে। এ জন্য তাকে শাস্তি দিয়েছি।

এ ব্যাপারে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, অভিযুক্ত সুমন মীরসহ মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

/এডব্লিউ

Exit mobile version